রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের নৌকা প্রার্থী কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার ছোট ভাই আবু হানিফ সুজা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদকে শোকজ করা হয়েছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজশাহী যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক লুনা ফেরদৌস এ শোকজ করেন। শোকজে দুজনকেই আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। দারার ভাই সুজা একজন সাধারণ ভোটারের কাছে ভোট চাইলে তিনি না দিতে চাওয়ায় তাকে চড় মারেন। এ অভিযোগে তাকে শোজক করা হয়। আর আব্দুস সামাদ যারা বিএনপির লোক, তাদের ভোট নৌকায় নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। নিশ্চিত না হলে তাদের ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নাই বলে জানিয়ে দেন। এ অভিযোগে তাকে শোকজ করা হয়।
সুজার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি, গত ২৫ ডিসেম্বর তিনি দুর্গাপুরের শ্যামপুর বাজারে গণসংযোগ চলাকালে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার সময় উমেদ আলী নামের একজন ভোটার ভোট দিতে না চাওয়ায় তাকে চড় মারেন। এ ঘটনার পরে উত্তেজনা দেখা দিলে সুজা সেখান থেকে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারাও ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এ নিয়ে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান লিখিত অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় সুজার বিরুদ্ধে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও আচরণ বিধি মালা ২০০৮ এর ১১ (ঙ) বিধি লঙ্ঘের দায়ে দোষি সাবস্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপরিশ করা হবে না তা লিখিতভাবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তিনি গত ২৩ ডিসেম্বর পুঠিয়ার ভাড়ারা এলাকায় রাত নয়টার দিকে একটি নির্বাচনী সভা থেকে বলেন যে, বিএনপির লোকের নৌকায় ভোট নিশ্চিত করেন। নৌকার ভোটার যারা নিশ্চিত না, তাদের ভোটকেন্দ্রে আসার দরকার নাই। এই ধরনের একটি ভিডিও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর (ক) ও (ঙ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের করা হবে না তা আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।