০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৫:২৩:৫৭ অপরাহ্ন
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কার্যকর
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৮-২০২৫
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কার্যকর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নতুন শুল্ক কার্যকর হয়েছে। প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির ফলে ডজনের বেশি দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত করের মুখোমুখি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ১০টা ১ মিনিট) পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের।


পাল্টা শুল্ক নামে পরিচিত এই নতুন শুল্ক কাঠামোর আওতায় প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা হার নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সাধারণ আমদানি শুল্কের ওপর অতিরিক্তভাবে প্রযোজ্য হবে।


এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের কিছুক্ষণ আগে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেন যে এই শুল্কের ফলে বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব আসবে যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি আরো বলেন, আমেরিকার গৌরব থামাতে পারে শুধু ‘রেডিক্যাল লেফট’ আদালত, যারা দেশের ব্যর্থতা চায়। এখানে তিনি এক চলমান আদালতের মামলার প্রসঙ্গ টানেন, যেখানে বিচারকরা মূল্যায়ন করছেন- প্রেসিডেন্ট এই সিদ্ধান্তে তার ক্ষমতা অতিক্রম করেছেন কি না।


নতুন শুল্কহার অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পণ্যে ৪১% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ১০% এবং ব্রাজিলের ওপর ৫০% পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর হয়েছে। ব্রাজিলের এই হার নির্ধারণে তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে চলমান মামলার ভূমিকা রয়েছে, যেখানে অতিরিক্ত ৪০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।


তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এই তালিকায় ব্যতিক্রম। তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির ফলে তাদের বেসলাইন শুল্কহার ১৫% নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে আগের শুল্কগুলো যুক্ত হবে না।


যেমন— ইউরোপ থেকে আমদানি হওয়া চিজ যেগুলোর ওপর আগে ১৪.৯% শুল্ক ছিল, সেগুলোর ওপর এখন ১৫% শুল্ক প্রযোজ্য হবে, ২৯.৯% নয়।

এছাড়া, ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদন করে না কিংবা ভবিষ্যতে উৎপাদনের পরিকল্পনাও নেই, তাদের ওপর ১০০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত চীনের মতো দেশের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর একটি কৌশল।


শেয়ার করুন