ইউক্রেনকে চারটি এমকিউ-১সি ঈগল ড্রোন দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। সঙ্গে জেনারেল অ্যাটোমিকস কোম্পানির একটি কন্ট্রোল স্টেশনও দিচ্ছে তারা। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনের কাছে বর্তমানে যেসব ড্রোন আছে তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী এ ড্রোনগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রে ঈগল ড্রোনগুলো ৩০ ঘণ্টা টানা উড়তে পারে। অন্যদিকে তুরস্কের তৈরি ড্রোনগুলো উড়তে পারে ১২-২৪ ঘণ্টা।
রাশিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কাউন্সিলের ডাইরেক্টর জেনারেল আন্দ্রে কোরতুনেভ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন এমন একটি জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যেখানে তারা ড্রোনগুলো পাঠাতে পারবে এবং রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার কোনো ভয় থাকবে না।
তার মতে এখন রাশিয়ার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে এ ড্রোনগুলো দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি জানান, রাশিয়া কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটির ওপর নির্ভর করে ইউক্রেনকে নিয়মিত ড্রোন দেওয়ার কথা ভাববে যুক্তরাষ্ট্র।
তার বিশ্বাস, রাশিয়া যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আরও বিধ্বংসী অস্ত্র পাঠানোর দিকে আগাবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি কোনো দ্বন্দ্বে জড়াতে চায় না এবং চেষ্টা করছে দ্বন্দ্ব যেন আরও না ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র যে ড্রোন দেওয়ার কথা বলছে সেগুলো আঞ্চলিক যুদ্ধে বেশ কার্যকর।
তবে প্রশ্ন হলো বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রুশ বাহিনী যাদের আছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, তাদের বিরুদ্ধে কতটুকু কার্যকর হতে পারে।
ভালাদি ক্লাবের বিশেষজ্ঞ আলেক্সান্ডার ইয়ারমানকোভ বলেছেন, ইউক্রেন এসব ড্রোনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোতে হামলা করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অন্যদিকে এই ড্রোনগুলো আলাদাভাবে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।