হোক না ৩২ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড। তবু জাতীয় দলের চৌহদ্দিতে তো এলেন। ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার যাঁর, সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কি একটা নতুন লাইফলাইন পেলেন? উত্তর পেতে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এখনো মাহমুদউল্লাহ-প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। তাঁকে নিয়ে আছে শুধুই ধোঁয়াশা।
ধোঁয়াশা এতটাই, জাতীয় দলের এক নিয়মিত সদস্যকে গতকাল যখন বলা হলো, তামিম ইকবালের নেতৃত্বেই তবে বিশ্বকাপ-এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে উত্তর দিলেন, ‘তামিম ভাই অবশ্যই থাকবেন। তিনি অধিনায়ক। অধিনায়ক ছাড়া দল কি চলতে পারে?’ কিন্তু মাহমুদউল্লাহ-প্রসঙ্গ আসতেই কেমন যেন মিইয়ে গেলেন তিনি, ‘সত্যি বলতে এটা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। রিয়াদ ভাইকে (মাহমুদউল্লাহ) নিয়ে কিছু জানি না।’
যিনি প্রাথমিক দলে আছেন, অথচ মূল দলে থাকবেন কি না, সেটা তাঁর সতীর্থ বলতে পারছেন না; মানে, তাঁর সামনের পথটা এখনো অনিশ্চয়তার চাদরে ঢাকা। আর প্রাথমিক দলটা তৈরি করা হয়েছে মূলত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এবং জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে। মাহমুদউল্লাহর সুযোগ পাওয়া চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে। গত টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে নিয়ে কী ভাবছে, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে ফেরার চেষ্টার কমতি রাখছেন না মাহমুদউল্লাহ।
গতকাল ফিটনেস ক্যাম্পের প্রথম দিনে সবার আগে মাঠে মাহমুদউল্লাহর উপস্থিতি দেখা গেছে। বেলা ২টা থেকে ফিটনেস টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। মাহমুদউল্লাহ মাঠে এসেছেন সেটিরও ঘণ্টা চারেক আগে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর মাহমুদউল্লাহর দূরত্ব প্রায় পাঁচ মাস হতে চলেছে। এই সময়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের হাত ধরে বেশ কিছু পরিবর্তনও এসেছে বাংলাদেশ দলে।