২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৫:১৩:২৬ পূর্বাহ্ন
সরকারী নির্দেশনা মানছে না ব্যবসাীরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৯-২০২৩
সরকারী নির্দেশনা মানছে না ব্যবসাীরা

রাজশাহীর চারঘাটে সরকারী নিদের্শনা মানছেন না ব্যবসাীরা। বেধে দেয়া দামের চেয়ে অধিক মুল্যে বিক্রি হচ্ছে আলূ, পেয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য। এতে চারঘাটের বাজারে লেগেছে এক ধরণের আগুন। যে আগুনে কোন ধরণের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ভোক্তারা। এ ঘটনার জন্য ভোক্তারা দায়ি করছেন বাজার নজরদারী না হওয়াকে। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।


সরেজমিনে শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি আলু বিক্রয় হচ্ছে ৪৫ টাকা, আমদানীকৃত পেয়াঁজ ৬৫ টাকা, দেশি পেয়াঁজ ৮০ টাকা এবং ডিম ১২-১৩ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ১৬০ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে পেয়াঁজ কোন কোন ক্ষেত্রে ২০ টাকা, আলু ১০-১৫ টাকা ও ডিম ১ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে বাজার ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সঙ্গে চলছে বাক বিতন্ডা।


তবে ব্যবসাীদের দাবি নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বিশেষ করে পেয়াঁজ, আলু ও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রন রাখতে সরকার দাম বেঁেধ দিলেও সরকারে বেধে দেয়া দামের চেয়ে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য। এতে পরিবহন খরচসহ সরকারের বেধে দেয়া দামে পন্য বিক্রি করা কঠিন বলে মনে করেন চারঘাটের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি কোল্ড ষ্টোরেজ থেকে প্রতি কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৩৮ টাকা দরে। পরিবহন খরচ, পচঁন এগুলো যোগ করে আমরা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট কেজি প্রতি ৪০-৪১ দরে বিক্রয় করছি বলে জানিয়েছেন চারঘাট বাজারের পাইকারী আলু ব্যবসায়ী সুমন। পাইকারী পর্যায়ে আলুর দাম না কমলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।


চারঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সবজি ব্যবসায়ী চানঁ মিয়া বলেন, পাইকারী বাজারে আলু ও পেয়াঁজ বেশি দামে কেনার জন্য খুচরা বাজারে তাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে । তবে আড়ৎ এ দাম কম থাকলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারবো। একই চিত্র দেখা যায় উপজেলার সারদা বাজার, নন্দনগাছি বাজার, কাকঁড়ামাড়ী বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে।


এদিকে নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরামতপুরের ভ্যান চালক গোলাম মোস্তফা জানান অতিরিক্ত দাম দিয়ে পন্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা থাকা সত্বেও আমাদের স্বল্প পরিমানে কিনতে হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্বেও এসকল পন্যের দাম বৃদ্ধির কারন কি? তাই স্থানীয় প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের উচিৎ এখনই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বাজার নজরদারী বাড়াতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজারে নেয়া হবে কঠেঅর ব্যবস্থা। সরকারী নির্দেশনা যারা মানবেন না তাদের চিহিৃত করে প্রয়োগ করা হবে আইনের সর্বোচ্চ আইন। এতে কাউকে ছাড় দেয়া সুযোগ নেই।


শেয়ার করুন