রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৩ নং, ইউনিয়নের সাজুড়িয়া বিলে ৫০ বিঘা তিন ফসলি জমিতে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন কাজ। এই অবৈধ পুকুর খনন করছেন স্থানীয় সুমন শাহ নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই অবৈধ পুকুর খননের দায়িত্বে রয়েছেন গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোঃ বকুল, অভিযোগ উঠেছে মেম্বার মোঃ বকুলের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও বাগমারা থানার ওসিকে ম্যানেজ করে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন সুমন শাহ।
এসব অবৈধ পুকুর খননের কারণে কমে যাচ্ছে এলাকার কৃষি ও ফসলি জমি কর্মহীন হয়ে পড়ছে হাজার হাজার কৃষক ও খেটে খাওয়া দিনমজুরা। এলাকার বেশ কিছু কৃৃষক অভিযোগ করে বলেন, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) বকুল আগেও বেশ কিছু অবৈধ পুকুর খননের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান, এলাকার কৃষক তারা আরও বলেন, এসব অসাধু অর্থলোভী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কারণেই।
আমাদের বাগমারা উপজেলায় মারাত্মক সংকটে কৃষি ও ফসলি জমি তাই এই অবৈধ পুকুর খননকারী সুমন শাহ তার সহযোগী বকুল মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানালেন এলাকার সাধারণ কৃষক। তবে এ বিষয়ে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) বকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই অবৈধ পুকুর খননের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই তিনি প্রশাসনকে ম্যানেজের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মোঃ মোস্তাক আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার থানা পুলিশ কোন পুকুরের সাথে জড়িত নাই, বাগমারা থানার ওসিকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করা হচ্ছে এই বিষয়টি (ওসি) মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ অস্বীকার করেন। এই অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে বাগমারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না। এসব অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক জানান, দ্রুত এই অবৈধ পুকুর খনন এবং খননকারী বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।