কিছুক্ষণ পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পতেঙ্গা পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ কেইপিজেড মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। দুপুরে সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও ভোর থেকেই জড়ো হচ্ছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
এরই মধ্যে হাজারো নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে সরব কেইপিজেডের মাঠ। জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ফেস্টুন-ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
আজ ভোর থেকে দেখা যায় কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জেরটেক, কলেজ বাজার, ক্রসিং, ফকিন্নীর হাট, ফাজিল খাঁর হাট, বড় উঠান, চাতরী চৌমুহনী বাজার, কালাবিবি দীঘির মোড়, বৈরাগ, গুয়াপঞ্চক, কাফকো সেন্টার, সিইউএফএল অংশ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিল-নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। লাল-সবুজ টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে পায়ে হেঁটে বা পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসে বিভিন্ন সড়ক ধরে যেভাবে পারছেন, মাঠের দিকে আসছেন তাঁরা।
এদিকে টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
জানা গেছে, এই দিন নগরের পতেঙ্গায় শহর প্রান্তে টানেলের নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। টোল প্রদানের পর আনোয়ারা প্রান্তে কাফকো কলোনিসংলগ্ন কেইপিজেড মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠে ৯ লাখ বর্গফুটের মাঠে তৈরি করা হয়েছে নৌকার আদলে মঞ্চ। ১৩৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৮ ফুট প্রস্থের মঞ্চে বসতে পারবেন প্রায় ৩০০ নেতা। জনসভায় নেতা-কর্মীদের বহন করা বাস রাখার জন্য কেইপিজেডের অব্যবহৃত চারটি মাঠ সংস্কার করে পার্কিং জোন করা হয়েছে। এ ছাড়া জনসভায় সাউন্ড সিস্টেমে সার্ভিস দিচ্ছে ঐতিহাসিক ‘কলরেডি’। জনসভাস্থলসহ মাঠের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে কলরেডির ২০০ মাইক।
জনসভা উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে কয়েক শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা তৎপর বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।