দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নিজেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী উল্লেখ করেছেন সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্ত। আর আয়ের চেয়ে বিনিয়োগ বেশি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর আসনটির উপনির্বাচনে তাঁর স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্ত সংসদ সদস্য হন। পরে ২০১৮ সালে আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি। এবার পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) ছোট ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জয়া।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দুইবারের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তের বার্ষিক আয় ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৭২ টাকা। তবে ব্যাংক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা রয়েছে ৯১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৯ টাকা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের গাড়ি রয়েছে। হলফনামায় নিজের ১০ ভরি সোনা থাকার কথা উল্লেখ তিনি করেছেন, কেনার সময় যার মূল্য ছিল ৪০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জয়া সেনগুপ্ত বলেন, ‘হলফনামার তথ্যগুলো সঠিক। অন্যদিকে স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে হলফনামায় ১০ একর কৃষিজমির কথা উল্লেখ করেছেন জয়া। এর মূল্য কেনার সময় ছিল ৬ লাখ টাকা, আর ৮৫ একরের অকৃষি জমিও রয়েছে। কেনার সময় এর মূল্য ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।