কলকাতায় চলছে ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ার’। যেখানে নজর কেড়েছে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন। কলকাতার সায়েন্স সিটি মেলা প্রাঙ্গণে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স ও জিএস মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েটের উদ্যোগে চলছে এই মেলা। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, ঘানাসহ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে ১৭টি দেশ ও ভারতের ২২ রাজ্য। ছোট-বড় মিলিয়ে মেলায় রয়েছে ৪০টি স্টল। তবে মেলায় স্টলের মধ্যমণি বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন।
ঢাকাই জামদানি, মসলিন কিংবা জুট দিয়ে তৈরি ব্লেজার- বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য কেবল দেশেই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতা ও ভারতবাসীর কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমনিতে বাংলাদেশি এসব পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মেলা ছাড়া সেভাবে বাংলাদেশি পণ্য খুব একটা পাওয়া যায় না কলকাতায়। স্বভাবতই এই ধরনের মেলার জন্য মুখিয়ে থাকে কলকাতার মানুষ। মেলায় যারা আসছেন, আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ঢুকছেন, কেনাকাটাও করছেন। পোশাকের স্টলগুলোতেই বেশি ভিড়। বিশেষ করে ঢাকাই জামদানি, ঢাকাই মসলিন, নকশি কাঁথার ওপরেই টান বেশি গ্রাহকদের। অনেকে আবার ফ্রুট ড্রিঙ্কস, ব্রেভারেজের দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন, গলা ভেজাচ্ছেন।
মেলার অন্যতম সংগঠক জিএস মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েটের উৎপল রায় জানান, মানুষ যখন এই মেলায় প্রাঙ্গণে ঢুকছে তখনই তারা জানতে চাইছেন বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নটা কোথায় আছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানেই আবেগ, আন্তরিকতা ও আতিথিয়তা। আর এটাই আকৃষ্ট করেছে লাখ লাখ গ্রাহককে। তার মতে, শতকরা ৮২ শতাংশ মানুষের শিকড়ই বাংলাদেশে। ফলে তারা যখন এই প্যাভিলিয়নে ঢুকছেন তাদের কাছে নিজের দেশ বলেই মনে হচ্ছে।
এক নারী পোশাক বিক্রেতা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই তারা এই আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ বছরও কলকাতার গ্রাহকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। বিশেষ করে মেলার শুরুর ছয় দিনের মাথায় এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে যে সাড়া পাওয়া গেছে তা যথেষ্ট সন্তোষজনক।
জুট দিয়ে তৈরি ব্লেজার দেখে বিস্মিত সোমনাথ দে নামে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার এক ক্রেতা। তিনি জানান, বাণিজ্য মেলাতেই এমন পণ্য পাওয়া সম্ভব। অন্য কোনো জায়গায় যা পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিনিস আমার খুবই পছন্দ।
কলকাতার সায়েন্স সিটি মেলা প্রাঙ্গণে ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এই মেলা যা চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।