পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ইয়ার্ডে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী শান্টিং ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ৭ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে দুই ট্রেনের দুই চালকসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঈশ্বরদী থেকে খুলনাগামী তেলের খালি ওয়াগন নিয়ে একটি ট্রেন রওনা হয়। এটি ঈশ্বরদী লেভেল ক্রসিং গেইট পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে পুশিং এ আসা মালবাহী শানটিং ওয়াগনে আঘাত করে। এতে মালবাহী ২টি ওয়াগনের ৮টি চাকা এবং লোকোমোটিভের সবগুলো চাকা লাইনচ্যুত হয়।
ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন প্রথমে মালবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর তেলবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকাল ৭টা থেকে সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর খুলনা অভিমুখি রেলপথ বন্ধ থাকলেও অন্য রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এখন সবগুলো রুটেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই ট্রেনের দুই চালকসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ দুই ট্রেনের চালককে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।