০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪০:৩৪ পূর্বাহ্ন
বান্দরবানে ব্যাংকে ডাকাতি: পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৪-২০২৪
বান্দরবানে ব্যাংকে ডাকাতি: পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের পার্বত্য বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচি এলাকায় সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় সরকারের সক্রিয় প্রতিক্রিয়ার কথা নিশ্চিত করে জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (৩ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি হামলাকারীদের কার্যক্রম সহজতর করতে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিঘ্নসহ তাদের কৌশলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ঘটনার সময়, কেএনএফ সদস্যরা পুলিশ কনস্টেবল, ব্যাংকের গার্ড এবং আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পুলিশ সদস্যরা তারাবিহ নামাজে থাকার সময় একজন ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এবং একটি ব্যাংকের ভল্ট ভাঙে। যদিও লুট করা অর্থের সঠিক পরিমাণ অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

আসাদুজ্জামান খান জোর দিয়ে বলেন, আরও তথ্য সংগ্রহ ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযানে সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

জঙ্গি হুমকি মোকাবিলার পাশাপাশি আসাদুজ্জামান খান সীমান্ত হত্যা বন্ধের লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে চলমান আলোচনা নিয়েও কথা বলেন।

তিনি স্বীকার করেন যে, উভয় দেশের অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত নাগরিকেরা প্রায়শই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। আলোচনায় হতাহত ঠেকাতে প্রাণঘাতী নয় এমন পদ্ধতি ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, তবে সরকার এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে চলবে।

কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ২০২২ সালের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। কেএনএফের ঘোষণা ও বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার অন্তত ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। এ সময় তারা ফেসবুকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি করে।

এদিকে কেএনএফ পাহাড়ে তাদের আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিপূর্বে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। সেই আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০২৩ সালে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

অন্যদিকে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য ২০২৩ সালের মে মাসে বান্দরবানের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির সঙ্গে কেএনএফের দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় ৫ মার্চ।

শেয়ার করুন