২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
তাণ্ডবের পর ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিম্নচাপে পরিণত, নেমেছে মহাবিপদ সংকেত
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৫-২০২৪
তাণ্ডবের পর ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিম্নচাপে পরিণত, নেমেছে মহাবিপদ সংকেত

রাতজুড়ে তাণ্ডবের পর প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও দূর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে যশোরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝড়টি। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, এটি আরো উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তবে এখনো মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে তাণ্ডব চালায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। মধ্যরাতে ঝড়ের সাথে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরের বেশ বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙ্গেছে গাছ পালা, বাড়িঘর, বেড়িবাঁধ। দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

বতর্মান ঘূর্ণিঝড় রিমাল খুলনা ও কয়রার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি আরও উত্তরদিকে অগ্রসর হচ্ছে।

সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল সকাল আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ: বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে সকাল ১১টা নাগাদ দুর্বল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা নাগিব বাহার জানিয়েছে, “রোববার মধ্য রাতে মূল ঝড়টি আঘাত হানে সাতক্ষীরা উপকূলে। এসময় অনেকে বাড়িঘড় ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটতে শুরু করে”।

রোববার মধ্যরাতে থেকে ভোররাত পর্যন্ত দক্ষিণ উপকূলে তাণ্ডব শেষে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। সকাল সাতটার পর থেকে আবারো ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয় বিভিন্ন এলাকায়।

পেশাগত কাজে বাগেরহাটের মোংলায় অবস্থান করছিলেন বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী রামিম হাসান। তিনি ভিডিও কলের মাধ্যমে সকাল আটটায় ঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানান বিবিসি বাংলার কাছে।

তিনি জানান, রাত বারোটার পর থেকে জোয়ারের সাথে পানি বাড়তে থাকে, সেই সাথে বাড়ছিলো ঝড়ের তীব্রতা। মোংলার নীচু এলাকার বেশিরভাগ বাড়িঘর-দোকান পাট পানিতে তলিয়ে গেছে। আর সকাল থেকে ঝোড়ো বৃষ্টিতে পানিবন্দি অবস্থায় আছে এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ।

বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানান, সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় গাছ পড়ে আছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে অনেক এলাকা। বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢোকায় পানিবন্দি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নীচু এলাকার লাখো মানুষ।

ঝড়ের তীব্রতা এখনো না কমায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শেয়ার করুন