০৫ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৩১:৪১ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর শত শিক্ষার্থী জানল প্লাস্টিকের ভয়াবহতা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৭-২০২৪
রাজশাহীর শত শিক্ষার্থী জানল প্লাস্টিকের ভয়াবহতা

রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই নগরের ব্যস্ততম মোড়। সেখানে প্লাস্টিক পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার । ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুটি প্রজেক্ট তৈরি করেছে। একটি প্লাস্টিকমুক্ত লক্ষ্মীপুর মোড়।


আরেকটি প্লাস্টিকযুক্ত মোড়। দুটি প্রজেক্ট রাখা হয়েছে পাশাপাশি। তার মাধ্যমে তারা প্লাস্টিক ব্যবহারের ভয়বহতা তুলে ধরেছে। সোমবার (১ জুলাই) প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত আলোর পাঠশালা ও লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ১০০ জন শিক্ষার্থী প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস প্রকল্পের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।


তারা প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাসের প্রজেক্ট নিয়ে আসে। তাদের এই প্রদর্শনীতে এসে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা

প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহিনুল হাসান দুটি বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেন।


এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের উদ্যোগে প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস করার উদ্যোগ নেয়। তাদের এই কর্মসূচিতে দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত দেড় বছর ধরে তারা এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিল। গত বছর ২২ জানুয়ারি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

সোমবার ছিল তার সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে শিক্ষার্থীদের মাথায় ছিল সমাবর্তন অনুষ্ঠান ক্যাপ ও গায়ে ছিল লাল ও হলুদ রঙের টি শার্ট। তারা এই অনুষ্ঠানে মোট ১৬ প্রজেক্ট প্রদর্শন করে।


লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিকমুক্ত শহর প্রজেক্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।প্রজেক্টটি তৈরি করেছে ইশরাত জাহান, অনন্যা রউফ, তাসনিয়া ইসলাম ও নুশরাত জাহান। তাদের প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প ব্যবহার প্রজেক্ট রানার আপ হয়েছে। এটি তৈরি করেছে আলোর পাঠশালার প্লাস্টিকমুক্ত শহর প্রজেক্টটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটি তৈরি করেছে শিক্ষার্থী রাহী, স্বপ্না, আফিয়া, সাহেলা ও ফারহানা। প্লাস্টিক কীভাবে মাটি ও পানি দূষণ করে এই প্রকল্পটি রানার আপ হয়েছে। এটি তৈরি করেছে পাঠশালার শিক্ষার্থী জেসমিন, সোনিয়া, সুরাইয়া, শ্রাবণী ও লামিয়া।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইরিন জাফর। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহিনুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের বগুড়া বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম ও রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, এই শিক্ষার্থীরা নতুন প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠছে।


তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা একটি বছর এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিলে। তোমাদের কিন্তু দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। কারণ পুরো রাজশাহী মহানগরের ভেতরে এই দুটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়েছে এবং এই দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিকের ব্যাপারে সচেতন করে গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, নদীর পানিতে যে পরিমান প্লাস্টিক ফেলা হচ্ছে। সেই প্লাস্টিক পচছে না। এটা যে কোনো ভাবে মাছের পেটে যাচ্ছে।


সেটা মাছের শরীরেও অকৃত্রিম থেকে যাচেছ। মাছের মাধ্যমে আমাদের শরীরের আসছে। এতে বোঝা যাচ্ছে আমরা পরিবেশের যে ক্ষতি করছি তার শিকার আমরাই হচ্ছি। তিনি তার বক্তব্যে এই বিদ্যালয়টি দুটিকে

প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠান শেষে আকাশে শিক্ষার্থীরা ক্যাপ ছুড়ে উল্লাস করে।

শেয়ার করুন