১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন
ডিএসসিসির ৬ হাজার ৭৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৭-২০২৪
ডিএসসিসির ৬ হাজার ৭৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৭৬০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। 


বুধবার ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ বাজেট ঘোষণা করেন।


চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৯৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সেখানে অন্যান্য আয় ১০৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। সরকারি থোক ও বিশেষ বরাদ্দ ৭০ কোটি এবং মোট সরকারি ও বৈদেশিক উৎস থেকে আয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা।


অন্যদিকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেখানে অন্যান্য ব্যয় ১৫ কোটি ২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। 


এছাড়া ডিএসসিসির নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন ব্যয় ১ হাজার ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা, সরকারি ও বৈদেশিক সহায়ক উন্নয়ন ব্যয় ৪ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা, মোট উন্নয়ন ব্যয় ৫ হাজার ৩৬৮ কোট ৩১ লাখ টাকা এবং সমাপনী স্থিতি ধরা হয়েছে ৮২৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।


এর আগে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল ডিএসসিসি। ওই অর্থবছরে বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৯৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। 


এছাড়া অন্যান্য আয় ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সরকারি থোক ও বিশেষ বরাদ্দ ৬৫ কোটি টাকা, মোট সরকারি ও বৈদেশিক উৎস থেকে আয় ৪ হাজার ৪৫৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।


অন্যদিকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মোট পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৪০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫ কোটি ২ লাখ টাকা। এছাড়া ডিএসসিসির নিজস্ব অর্থায়নে উৎস ব্যয় ৯৭৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। 


পাশাপাশি সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তায় উন্নয়ন ব্যয় ৪ হাজার ৪৫৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৪৩২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।


জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ


২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ডিএসসিসি। নতুন অর্থবছরের বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাজাটে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরাসরি বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে পানির পাম্প ক্রয় ও স্থাপনে আরও ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


এর আগে ডিএসসিসি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরাসরি ৯০ কোটি টাকার বরাদ্দ রেখেছিল। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের (খাল, জলাশয়, নর্দমা পরিষ্কার) জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ৩০ কোটি টাকা, খাল-পুকুর ও জলাশয় পুনরুদ্ধারে আরও ২ কোটি টাকা এবং পানির পাম্প ক্রয় ও স্থাপনে আরও ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।


২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে রাজধানীর জলাবদ্ধতার সব দায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত হয়েছে।


মশা মারতে বরাদ্দ ৪৫ কোটি টাকা


চলতি অর্থবছরে মশা মারতে ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে ডিএসসিসি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে মশা নিধনে ব্যবহৃত কীটনাশক কিনতে ৪০ কোটি টাকা ব্যয় করবে সংস্থাটি। 


এছাড়া ফগার, হুইল, স্প্রে মেশিন ও পরিবহণে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। পাশাপাশি ব্লিচিং পাউডার ও জীবাণুনাশক কিনবে আরও ৫০ লাখ টাকায়। সবশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কেনা হবে ৫০ লাখ টাকার।


এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজাটে ডিএসসিসি মশা মারতে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছিল। এর মধ্যে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়ে মশা নিধনে ব্যবহৃত কীটনাশক কেনার কথা ছিল। বাকি ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করার কথা ছিল যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবহণ খাতে।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিমসহ কাউন্সিলর ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।


শেয়ার করুন