শোকবহ আগস্ট স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোক র্যালিটি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয়। র্যালিটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
শোক র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডরীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
শোক র্যালি শেষে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দুই কন্যা ব্যতীত প্রায় সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকেরা। সেই দিবস স্মরণে তারপর থেকে প্রত্যেক বছর সারাদেশেই সেটা আমরা ক্ষমতায় থাকি অথবা না থাকি, সুখে, থাকি অথবা দুঃখে থাকি, যেকোন অবস্থাতে আমরা এই দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করি।
শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। তারই অংশ হিসেবে পহেলা আগস্ট রাজশাহী মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা শোক মিছিল করেছি। ধারাবাহিকভাবে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭১ সালে তাদের পরাজয়ের পর থেকেই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি ছিল। জাতির পিতা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম মৃত্যুর পর খুনী চক্রের মূল পুরোধা জিয়াউর রহমান, তার সঙ্গে খন্দকার মোস্তাক গং, তারা সকলে মিলে আবারো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে। গোলাম আজমকে দেশে ফেরত আনে, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার অনুমতি দেয়, তারাই পথটি সুগম করে দেয়। দীর্ঘদিন পরও জামায়াত-শিবির তাদের অতীতের বিভৎসতা, সহিংসতা, পশ্চাৎমুখীতা থেকে তারা সরে আসেনি।
তারা হত্যা, খুন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সাম্প্রতিকালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে তারা আবারো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে আমাদের গর্বের ও অহংকারের স্থাপনাসমূহ ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়েছে। তারা গণভবনসহ স্বাধীনতার বাড়িঘরগুলোকে টার্গেট করেছিল। সেই অপশক্তিকে আমরা এবারো মতো পরাজিত করতে পেরেছি এবং সেই কারণে এবার আর বিলম্ব নয়, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া দরকার। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ এদেশের মাটিতে দেওয়া যায় না। এই বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা এবং স্বাধীনতার চেতনাধারণকারী কোটি কোটি মানুষ আমরা মাথা উঁচু করে বসবাস করবো।
তিনি আরো বলেন, অতীতেও যেকোন দুঃসময়ে আমাদের নেতাকর্মীরা এক আহ্বানে রাজপথে চলে এসেছে। আমরা এটি বারবার প্রমাণ দিয়েছি। জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদেরকে মোকাবেলা করবো। কারণ জনগণ শান্তির পক্ষে, জ্বালাও-পোড়াও এর পক্ষে নয়।
শোক র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা: তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, যুব ও ক্রীড়া বিয়ষক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য শামসুজ্জামান আওয়াল, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, ইসমাইল হোসেন, আলিমুল হাসান সজল, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ সকল থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।