২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৬:০৪:৫৪ অপরাহ্ন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ‘চাঁদাবাজি’, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৫-২০২২
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ‘চাঁদাবাজি’, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ‘চাঁদাবাজি’, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রাজধানীতে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

তার নাম মো. সাঈদী হোসেন। সাঈদী হোসেন সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে গ্রেফতারের সময় বাধা প্রদান করে আটক হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ।

বৃহস্পতিবার ভোরে সবুজবাগ এলাকা থেকে সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয়। 

সাঈদীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তবে জোবায়ের আহমেদের আটকের বিষয়ে কোনো বক্তব্য তিনি দেননি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী চালিয়ে আসছিলেন মো. সাঈদী হোসেন। র্যাব ৩-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের সময় তার কাছে অস্ত্র, গুলি ও মাদক পাওয়া গেছে।’

সাঈদীকে গ্রেফতারের সময় ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী র্যাবের অভিযান বাধাগ্রস্ত করে বলে জানা গেছে।  এ কাজে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ। 

দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে র্যাবের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখেন জোবায়ের। পরে র্যাবের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা যুক্ত হলে ছাত্রলীগকর্মীরা পিছু হটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর দক্ষিণ এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন,  সাঈদীকে দক্ষিণের সহসভাপতির পদ জোবায়েরই দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব সাঈদীকে গ্রেফতার করতে আসলে জোবায়ের বাধা হয়ে দাঁড়ান। তিনি সাঈদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাকেও আটক করা হয়।

জোবায়ের আটক হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি। র্যাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য আসেনি।

তবে ঘটনার পর থেকে জোবায়ের মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

সাঈদী হোসেন এক সময় সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ‘চাঁদাবাজি, মাদক সম্পৃক্ততা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ কারণে ২০১৯ সালে তাকে ওই পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এরপর ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে, সেখানে সাঈদী হোসেনকে মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতির পদ দেওয়ার কথা বলা হয়। তখন থেকে ওই পরিচয়েই কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন সাঈদী।   
 

শেয়ার করুন