১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:১৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
কারাগারে থেকেও যেভাবে রাজনীতিতে প্রভাব রাখছেন ইমরান খান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২৪
কারাগারে থেকেও যেভাবে রাজনীতিতে প্রভাব রাখছেন ইমরান খান

প্রায় এক বছর হতে চলল পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে আছেন। তবে কারাগারে থাকলেও দেশটির রাজনীতিতে প্রভাব রাখছেন তিনি। 


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো পাকিস্তানের বিরোধী রাজনীতির প্রভাবশালী শক্তি ইমরান খান। কাগজপত্রে ও আদালতে তার নাম আসছে নিয়মিত, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ইমরানের সমর্থকরা ‘অদম্য’।


জনসমক্ষে আসতে না পারালেও এই সাবেক ক্রিকেট তারকার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে আসা অল্প কিছু মানুষ বহির্বিশ্বের কাছে তার (ইমরান খানের) বার্তা পৌঁছানোর একমাত্র দূত হয়ে উঠেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন ইমরানের আইনজীবীরা ও পরিবার।


৩৬৫ দিন ধরে কারাগারে থাকা সত্ত্বেও যে ইমরান খান মাথা নত করেননি, সেই বার্তা পাঠাতেই আগ্রহী ইমরান খানের আইনজীবী ও তার পরিবারের সদস্যরা।  ইমরান খানের বোন আলিমা খানম বলেন, “ওর মধ্যে একটা অদম্য ব্যাপার আছে। ওর কোনও চাহিদা নেই, কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। আছে শুধুমাত্র একটা উদ্দেশ্য।”


যারা দেখা করতে যান, তাদের মতে, এই সাবেক ক্রিকেট তারকার দিন কাটে এক্সারসাইজ বাইকে কসরত করে, বই পড়ে এবং ভাবনা চিন্তা করে। উঠোনে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তার হাতে দিনে এক ঘণ্টার মতো সময় থাকে।


পরিবার কত তাড়াতাড়ি তাকে নতুন বই সরবরাহ করতে পারে তা নিয়ে অবশ্য মাঝে মাঝে মতবিরোধও দেখা যায়। কিন্তু বাস্তব বিষয় হলো, ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি এখনও কারাগারে আটক আছেন। এবং তাদের মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ খুব শিগগিরি দেখা যাচ্ছে না।


কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন, এটা খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার বিষয় নয়। "কারাগারে এক মিনিটও সময় নষ্ট করছেন না বলে জানিয়েছেন উনি (ইমরান খান)। এটা তার কাছে আরও জ্ঞান অর্জন করারএকটা সুযোগ," বিবিসিকে বলছিলেন আলিমা খানম। 


ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টার থিংক ট্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “তার জেল থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টা সহজ হয়, ইমরান তেমন কিছু একটা করবেন বলেও কোনো প্রত্যাশা ছিল না।”


কুগেলম্যান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী হলো পর্দার আড়ালে থাকা আসল শক্তিশালী খেলোয়াড়। তার কথায়, “তারা যখন সিদ্ধান্ত নেয় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বন্দি রাখার, তখন তারা এত চট করে শান্ত হয় না।”


“ইমরান খানের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে।” গত এক দশকে ইমরান খানের জীবনের অনেক উত্থান-পতনের মূলে কিন্তু ছিল এই সেনাবাহিনী। 


বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, প্রথম দিকে সামরিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই তাকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু ছবি একেবারে বদলে গিয়েছে। গত বছরে সেই সম্পর্ক এসে তলানিতে ঠেকে।


শেয়ার করুন