২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:৩৩:২০ অপরাহ্ন
৬ ব্যাংকে জমা এস আলম গ্রুপ ও পরিবারের ১.০৯ লাখ কোটি টাকা!
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২৪
৬ ব্যাংকে জমা এস আলম গ্রুপ ও পরিবারের ১.০৯ লাখ কোটি টাকা!

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছয়টি ব্যাংকের হিসাবে এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সূত্রগুলোর মতে, বর্তমানে এসব হিসাবের স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা। তবে কিছু ব্যাংকের থেকে এখনো লেনদেনের তথ্য আসছে বিধায় এর পরিমাণ এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না।


এই ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।


যারমধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এর আগে ছিল এস আলমের নিয়ন্ত্রণে। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগের পর থেকেই এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

গত ১৪ আগস্ট এনবিআরের অধীন ইনকাম ট্যাক্স জোন-১৫ থেকে ৯১টি ব্যাংক ও ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এস আলম, তার পরিবার এবং তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়িক সত্তাগুলোর অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়। এর এক মাস পরে তারা এসব হিসাবের মধ্যে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের ঘটনা খুঁজে পেয়েছে।


ট্যাক্স জোন-১৫-এর কমিশনার আহসান হাবিব টিবিএসকে বলেন, ‘এস আলমের পরিবারের সদস্য, এবং গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব সার্চ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।’ এর বেশি তিনি আর কিছু জানাতে রাজি হননি।


নাম না প্রকাশের শর্তে ট্যাক্স জোন-১৫-এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, ঋণ ও বিক্রির অর্থসহ এসব ব্যাংকে এ পর্যন্ত তারা এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমার সন্ধান পেয়েছেন।


‘তবে এর মধ্যে কত টাকা ঋণের এখনো তা নির্ধারণের কাজ চলছে’ - বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘এস আলমের পরিবারের সদস্য ও ব্যাবসায়িক সত্তাগুলোর এসব হিসাবের বর্তমান স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা বলে আমরা জানতে পেরেছি।’


এই তথ্য কোন সময়ের, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত পাঁচ বছরের তথ্য চাই। তবে এ ক্ষেত্রে এর আগের সময়ের তথ্যও থাকতে পারে।’


অতীতে ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, যেকোনো করদাতার বিগত পাঁচ বছরের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চাওয়া যেত।


শেয়ার করুন