১৩ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৬:০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২৪
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি

নির্বচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সরকার শিগগিরই একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে। রীতি অনুযায়ী এ কমিটিতে ৬ জন সদস্য থাকবেন।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে শনিবার (১৯ অক্টোবর) আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।


এ দফায় গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আলোচনায় অংশ নেয়।


সংলাপের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।


রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৩টায় এ সংলাপ শুরু হয়ে ৭টার দিকে শেষ হয়। এরপর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সংলাপে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী একথা জানান।


মাহফুজ আলম বলেন, সরকার তার দল নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ ও যোগ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে এই সার্চ কমিটি গঠন করবে। সার্চ কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিটি পুনর্গঠনের কাজ করবে। পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।


এসময় সরকারের শুরু করা সংস্কার কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে চলমান থাকবে বলেও জানান বিশেষ সহকারী।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সার্চ কমিটি করা হবে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‌সার্চ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কোনও চাপ বা হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।


সংলাপের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়েই বেশি কথা হয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, তিনটি নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।


আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এককভাবে এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যারা পালিয়েছেন, তারা কীভাবে গেলেন সে বিষয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।


এ সময় তিনি জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে তিন দিন কোনও সরকার ছিল না। মূলত সেই সময়ই অনেকে পালিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সরকার এরইমধ্যে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে।


তবে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ ও ‘গণহত্যায়’ অভিযুক্ত আওয়ামী লীগকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর আওয়ামী লীগের সময়ের ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে প্রথম দফায় সংলাপে ডাকা হলেও পরে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।


শেয়ার করুন