২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন
জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার আশা উপদেষ্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১১-২০২৪
জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার আশা উপদেষ্টার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রতি বছর পাঠ্যবই ছাপানোর সময় কিছু না কিছু ভুল-ভ্রান্তি দেখা যায়। নতুন পাঠ্যপুস্তকে ত্রুটিবিচ্যুতি দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে নির্ভুল পাঠ্যবই বের করার। ছাপানো বই হাতে পেলে বোঝা যাবে কতটা নির্ভুল হলো। জানুয়ারিতেই আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দিতে পারব।



মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।



অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার লেখাপড়ার পাশাপাশি, অতিরিক্ত কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত ও আগ্রহী করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সরকারি জুবিলীর মাঠকে পরিচ্ছন্ন এবং সবসময় খেলাধুলার উপযোগী করে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।



সরকারি জুবিলীর শিক্ষা জীবনের নানা স্মৃতি বর্ণনা করে তিনি এখান থেকে মাঝপথে একদিন থেকে নৌ-পথে নিজের বাড়ি সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে যাওয়ার স্মৃতিও তুলে ধরেন।



সরকারি জুবিলীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক পর্ষণকে সংকোচিত করার উদ্যোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি খর্ব না করলেই ভালো হয়। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।



সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় বললেন, আমি এখানে এসে আবেগে আপ্লুত। ১৯৭৯ সালে এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ থেকেই এসএসসি পাশ করেছি। এখানে কাঠের স্ট্রাকচারের উপরে শ্রেণিকক্ষ ছিল। এর নিচ দিয়ে বন্যার পানি যেত। এখানকার স্কুল ম্যাগাজিন থেকে আমি লেখালেখিতে আগ্রহী হয়েছিলাম।



এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) বিরোধা রানী রায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এনামুল হাসান শাহীন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।



এর আগে উপদেষ্টা সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ক্লাশ পার্টিতে অংশ নেন। তিনি জুবিলীর দুটি ছাত্র হোস্টেল, পাশের শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুনামগঞ্জের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং পিটিআইয়ে প্রাথমিক শিক্ষায় আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও বাজেট সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন।


শেয়ার করুন