সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশ ছেড়ে সুদূর সুইজারল্যান্ডে বসবাস করছেন।
তার ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী। মোশাররফ হোসেন তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক, বিএডিসিসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ফরিদপুর সদর আসনের (ফরিদপুর-৩) এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে তিন মাসের ছুটি নিয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তিনি বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর তার ছুটির আবেদন পাঠ করে শোনান সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। পরে কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন মোশাররফ। সেটা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন। মাত্র তিন দিনের জন্য ওই অধিবেশন বসে।
সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৯ (২) এ অনুসারে ৯ জুলাই ২০২৩ থেকে পরবর্তী ৯০ বৈঠকের জন্য ছুটির জন্য ই-মেইলে আবেদন করেন বলে জানান শামসুল হক টুকু। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এ ছুটির আবেদন সংসদে পাঠ করে শোনানো হয় এবং ভোটে দেওয়া হয়।
ছুটির আবেদনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন উল্লেখ করেছেন, ব্যাকপেইন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছি। সংসদ কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৯ এর ২ বিধি অনুসারে ৯ জুলাই ২০২৩ থেকে পরবর্তী একাধিকক্রমে ৯০ বৈঠক দিবস সংসদে অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুর প্রার্থনা করছি। জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সুইজারল্যান্ড থেকে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে জানান, তিনি ছুটির আবেদন করেছেন। তার শরীরের অবস্থা বেশি ভালো নয়।