০১ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার, ০১:৪২:৫৭ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্ময়কর খুদে প্রতিভা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১২-২০২৪
ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্ময়কর খুদে প্রতিভা

কেউ ৬৪ জেলার নাম, কেউ প্রতিষ্ঠা সাল, কেউ আবার জেলার নাম বললেই বলে দিতে পারে উপজেলাগুলোর নাম। কোনো শিক্ষার্থী ৪০০ বিজ্ঞানীর নাম ও আবিষ্কার আবার, কেউ বলে দিচ্ছে বিশ্বের দেশগুলোর রাজধানী ও মুদ্রার নাম। এমনই বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী ঠাকুরগাঁও জেলার এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুদে শিক্ষার্থীরা।


সরজমিন দেখা যায়, টিনশেডের কয়েকটি রুম। নেই তেমন কোনো সৌন্দর্য। সাধারণ কোনো ঘর মনে হলেও এটি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সাজসজ্জায় তেমন আকর্ষণ না থাকলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিভায় আকৃষ্ট হবেন সবাই। বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবার মাঝে।


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের ফুটানি বাজারের পাশে ৪ বছর আগে পথচলা শুরু করে সানলাইট এডুকেশনাল কটেজ। অজপাড়াগাঁয়ে মেঠোপথের পাশে অবস্থিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। প্লে থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত করানো হয় পাঠদান। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানের খুদে শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিভা আলোড়ন ফেলেছে ঠাকুরগাঁও জেলাজুড়ে। প্রতিষ্ঠানটির প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান ও তাসনীম আক্তার। ৫ বছর বয়সি এই ছোট্ট শিশুরা বলে দিতে পারে দেশের ৬৪টি জেলার নাম। জেলার নাম বললেই প্রতিষ্ঠার সাল বলে দিতে পারে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু শাহীন আর চার শতাধিক বিজ্ঞানী ও তাদের আবিষ্কারের নাম বলতে পারে সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া সাজ্জাদুর ইসলাম সাজু। জেলাগুলোর নাম বললেই উপজেলার নাম বলে দিতে পারে অষ্টম শ্রেণির জেসমিন আক্তার আর বিশ্বের দেশগুলোর রাজধানী ও মুদ্রার নাম বলে চমক দেখায় নবম শ্রেণির আসমানী আক্তার।


এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা ও লেবু পানি দিয়ে বিদুৎ উৎপাদনসহ নানা ধরনের প্রতিভার অধিকারী বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। গাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিভায় মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। ভবিষ্যতে এদের প্রতিভা বিকাশে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


স্থানীয় ইসমাইল বিন হায়দার বলেন, আমি বাচ্চাদের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো সুন্দর করে সব বিষয় আয়ত্ত করেছে। এই অল্প বয়সে যে প্রতিভা যতœ নিলে এরা আরো বড় হবে এবং ভালো কিছু করে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সব ধরনের জ্ঞানের চর্চা করানো হয়ে থাকে বলে জানান পরিচালক। আগামীতে আরো সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশায় সবার সহযোগিতা চান তিনি। সানলাইট এডুকেশনাল কটেজের পরিচালক শেখ সিরাজ বলেন, স্কুলের বাচ্চগুলো অনেক মেধাবী। আমরা চেষ্টা করছি তাদের মেধাগুলো বিকশিত করার। গ্রামের গরিব ঘরের বাচ্চাগুলোর একটু যতœ নিলে এরা আরো এগিয়ে যাবে। আমাদের স্কুলে আমরা উন্নত বিশ্বের সিলেবাস অনুযায়ী পড়ানোর চেষ্টা করছি।


শেয়ার করুন