রাজশাহীর বাঘায় প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেককে বিদ্যালয়ে থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষকের সমর্থক ও সহকারী শিক্ষকের সমর্থকদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জের হেলালপুর মুসার ঈদগাহ মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এ ঘটনার পর বিদ্যালয়ের ২৯ জন শিক্ষক কর্মচারী প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক অনিয়ম ও অনৈতিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু লোক নিয়োগ করা হয়। টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন সহকাারী শিক্ষকরা।
এতে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষককরা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকরা কিছু সময়ে অযৌক্তিক দাবি করেন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সামর্থ্যের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু দাবি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মানা সম্ভব না হলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলে।
তাদের কথা সহ্য করে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চেষ্টা করি। সোমবার তারা একত্রিত হয়ে আমার গায়ে হাত দেন এবং লাঞ্ছিত করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’