২২ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার, ১০:৫৯:০৩ অপরাহ্ন
দুর্নীতির মামলায় রাজশাহীর আ’লীগ নেতা আবুল কালামের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০১-২০২৫
দুর্নীতির মামলায় রাজশাহীর আ’লীগ নেতা আবুল কালামের

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদক রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন মামলাটি দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন আবুল কালাম আজাদ ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় ১৩ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু তহবিলের আওতায় ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের অধীনে তাহেরপুর পৌরসভায় ৪১৫ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা ছিল। তবে তদন্তে দেখা যায়, মাত্র ৪০৫ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও পুরো ৪১৫ মিটারের বিল পরিশোধ করা হয়। এই অতিরিক্ত বিলের পরিমাণ ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬১ টাকা।


এছাড়া, মেয়র থাকাকালীন আদায় করা ভ্যাট ও ট্যাক্সের ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কৃষি ও পরিবেশ অডিট অধিদপ্তরের তদন্তে এই অর্থ আত্মসাতের তথ্য প্রমাণিত হয়েছে।


মামলায় আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন: ঠিকাদার খালেদ মোহাম্মদ সেলিম। তাহেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের। উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল হক। মামলার কপি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে দুদক জানিয়েছে। উল্লেখ্য, আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।


আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগের টিকিটে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি তিনবার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। এমপি হওয়ার পর তাহেরপুর পৌরসভার উপ-নির্বাচনে তার স্ত্রী খন্দকার শায়লা পারভিনকে মেয়র পদে নির্বাচন করিয়ে এলাকায় নিজের প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।


দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, এমন কার্যকলাপের মাধ্যমে তিনি তার প্রতিপক্ষদের নিজের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বোঝাতে চেয়েছিলেন।


শেয়ার করুন