সাত দলের বিপিএলে সবার নিচে অবস্থান সিলেট স্ট্রাইকার্সের। ৯ ম্যাচে জয় মাত্র ২টি। প্লে-অফের রেস থেকেও ছিটকে গেছে দলটি। এখনও বাকি তিন ম্যাচ। তবে সেই ম্যাচগুলোতে একাদশ সাজানো নিয়েও মাথা ঘামাতে হচ্ছে দলটির অধিনায়ক অরিফুল হককে। রীতিমতো ‘মিনি হাসপাতালে’ পরিণত হয়েছে সিলেটের ডাগআউট।
সিলেটের ধাক্কা খাওয়ার শুরুটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই। নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পাওয়া যায়নি রাজনৈতিক কারণে। এরপরও মাঝারি মানের দল গড়েছিল সিলেট। একটা সময় একাদশে তিনজন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকেও দেখা গেছে। তবে এখন কেউই গ্লাভস হাতে তুলে নিতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনিয়মিত কিপারকে দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয় পেস আক্রমণের মূল অস্ত্রও চোটের কারণে মাঠের বাইরে। গুরুত্বপূর্ণ এক বিদেশি ক্রিকেটার তো চোট নিয়ে দেশেই ফিরে গেছেন। চোটের কারণে খেলতে পারছেন না তানজিম সাকিব। সবশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন নাহিদুল ইসলাম। এই অবস্থায় আসন্ন ম্যাচগুলোতে তাই একাদশ সাজানোটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে সিলেটের জন্য।
যা নিয়ে আরিফুল বলেন, ‘আমাদের উইকেটকিপার চারটা। চারটা কিপার থাকার পরও আমাদের রনিকে কিপিং করতে হচ্ছে। কারণ, জাকের আলি অনিকের ব্যাকে লাগা (পিঠের সমস্যা), জাকিরের হাঁটুতে লাগা (চোট), মানজির আঙুলে লাগা (চোট)। ওরা কেউ কিপিং করতে পারছে না। বিষয়টা এমন যে, এখন রনিকে দিয়ে আমাদের কিপিং করাতে হচ্ছে।’
দলের চোট নিয়ে আরিফুল আরও বলেন, ‘আরেকটা হলো আমাদের সাকিব (তানজিম হাসান)। ওর হাঁটুতে লাগছে, আমরা চট্টগ্রামে ওকে পাইনি। আমাদের বোলিং শক্তিও কমে গেছে এখানে। আজকে নাহিদকে নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম যে ওকে খেলাব। কিন্তু ওর ব্যাকে (পিঠে) লেগেছে। যত কিছু আছে, আমাদের দলে সব একসঙ্গে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের এখন ১১ জন করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
আরিফুল আরও বলেন, ‘(নিজেদের) দুর্ভাগা তো মনে হচ্ছেই। রাকিমের (কর্নওয়াল) পুরো মৌসুম খেলার কথা ছিল। সেও এসে চোট পেয়ে চলে গেল। এখন দলের সবাই মনে হয় ইনজুরড। ব্যাক-আপ ক্রিকেটার বলতে কেউ নেই। ভাঙাচোরা (দল) নিয়েই খেলতে হচ্ছে।’
ঢাকায় ফিরে রোববার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামবে সিলেট, পরদিন তাদের প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহী। শেষ ম্যাচে তারা লড়বে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচগুলোর আগে নতুন করে চোটে পড়লে সত্যিই একাদশ সাজাতে বেগ পেতে হবে সিলেটকে।