১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৯:০৪ অপরাহ্ন
সম্পত্তির ভাগ নিয়ে এবার কথা বললেন দিতির মেয়ে লামিয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০২-২০২৫
সম্পত্তির ভাগ নিয়ে এবার কথা বললেন দিতির মেয়ে লামিয়া

সম্প্রতি পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে  নানা সংঘাতের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা ঢালিউড অভিনেত্রী পপির সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের বিবাদই বড় উদাহরণ। আবার পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ব্যতিক্রমী ঘটনাও কয়েক দিন ধরে সামাজিকমাধ্যমেও ঘুরপাক খাচ্ছে— অভিনেত্রী রুনা খানের ভাই সম্পত্তির ভাগ নিয়ে নজির স্থাপন করেছেন।


দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, বাবার সম্পত্তিতে কন্যাসন্তানের ভাগ পুত্রসন্তানের অর্ধেক। তবে সেই পথে না হেঁটে বাবার সম্পত্তি দুই ভাইবোনের মধ্যে সমানভাবে শেয়ার করে দিলেন ভাই। বিষয়টি সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী রুনা খান। এর মধ্যেই অভিনেত্রী প্রশংসায় ভাসছেন নেটদুনিয়ায়।


এবার সম্পত্তির বিষয়ে কথা বললেন নন্দিত চিত্রনায়িকা দিতি ও অকাল প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরী। জানালেন তাদের দুই ভাইবোনের ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য সৃষ্টি করেননি এবং বৈষম্যের শিক্ষা দেননি মা-বাবা। 


সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দিতিকন্যা লামিয়া চৌধুরী লিখেছেন— এটাই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আমার আর আমার ভাইয়ের মধ্যেও সব সমান সমান। আমাদের বাবা-মা এটাই চেয়েছিলেন। আর আমাদের এ শিক্ষা দিয়েই বড় করা হয়েছে। 


তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আইন আমাদের মনে করিয়ে দেয়— আমরা সমান না। আর শুধু শুধু সবকিছু জটিল করে আমাদের সময় নষ্ট করে। বাড়তি সময় ও কাগজপত্র নষ্ট। 


লামিয়া বলেন, যেখানে মা স্পষ্ট বলে গেছেন যে, আমরা সমান। আর এগুলো আমিই দেশে থেকে দেখভাল করি। অথচ আমারই এ রকম শুনতে হয় যে, আমার মূল্যায়ন অর্ধেক— এসব ঠিক না।


তিনি আরও বলেন, ইসলাম ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত। এই আইনের পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। কিন্তু আগের সমাজ ও এখনকার সমাজ এক না। আগেকার দিনে নারীদের কম দেওয়া হতো। কারণ বিবাহিতার ব্যয় স্বামী বহন করত। আর অবিবাহিতাদের খরচ ভাই বহন করত। 


দিতিকন্যা বলেন, এখন এ রকম হয় না। মেয়েরা এখন ভাইদের ওপর নির্ভরশীল না। আমি অবিবাহিত বলে আমার অর্থনৈতিক দায়িত্ব আমার ভাইয়ের না। বরং এখন স্ত্রী/বোনেরা সংসারের খরচ ভাগ করে নেয়। তাহলে কেন এখনো এই বৈষম্য অব্যাহত? 


সোহেলকন্যা বলেন, এ ধরনের আইনগুলো সংস্কার করা উচিত এবং অন্ততপক্ষে এমন পরিবারগুলোতে বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়, যারা এই বৈষম্যে একমত না।


লামিয়া চৌধুরী বলেন, বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের সমান করে বড় করেছেন। ভাইও আমাকে সমানই ভাবে। শুধু আপনারা আমাকে ছোট করছেন। এসব বন্ধ করুন।


শেয়ার করুন