২৬ মে ২০২৫, সোমবার, ১২:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
ন্যায্য দাবি মানতে সরকারের মান-অভিমানের সুযোগ নেই : তারেক রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৫-২০২৫
ন্যায্য দাবি মানতে সরকারের মান-অভিমানের সুযোগ নেই : তারেক রহমান

জনগণের ন্যায্য দাবি মানতে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনাতনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।


তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক নামে সরকারের চরিত্র যা-ই হোক। সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা না গেলে ক্ষমতাসীন সরকার হয়তো নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে এবং এ কারণেই হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে হলেও অবশ্যই নাগরিকদের সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা জারি রাখতে হবে।


তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নাগরিক নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার থাকতে হবে। দেশের জনগণ কিন্তু সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের কথা শুনতে, জনগণের ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের সুযোগ নেই।


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পথরুদ্ধ করে রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার।’ সংস্কার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অল্প বা বেশি সংস্কার বলে কিছু নেই। রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রয়োজনে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমার কাছে মনে হয় পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে প্রায়োগিক সংস্কার অনেক বেশি জরুরি।

বর্তমান সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবারও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এই সরকারের মাধ্যমেই দেশের সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে পাবে জনগণ।’


জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবিধানে জনগণের ভোটের অধিকার থাকলেও ভোট দিতে দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় জনগণের প্রতিনিধি দিয়ে সংসদ গঠিত হলে, তাদের ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সুযোগ কম থাকত।’


তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতিক ও রাজনৈতিক বৈধতার সংকট হয়তো নেই।


তবে এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়। সরকার যেহেতু জবাবদিহিমূলক নয়, তাই নৈতিক কারণে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জনগণের কাছে স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন। জনগণকে অন্ধকারে রেখে, রাজনৈতিক দলগুলোকে অনিশ্চিয়তায় রেখে শেষ পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা কার্যকর ও টেকসই হয় না, হবেও না।’


শেয়ার করুন