২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:০৯:৩২ অপরাহ্ন
রাজশাহী মহানগরীতে দুই ভূয়া পিবিআই অপু ও রনক গ্রেফতার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৯-২০২২
রাজশাহী মহানগরীতে দুই ভূয়া পিবিআই অপু ও রনক গ্রেফতার

রাজশাহী মহানগরীতে ওয়াহেদুল শেখ অরফে অপু (৩২) ও গোলাম রসুল অরফে রনক (৩৫) নামের দুই ভূয়া পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) গ্রেফতার করেছে কাটাখালী থানা পুলিশ। 


রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাত দেড় টায় মহানগরীর কাটাখালী বাজার সংলগ্ন মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করে এসআই জুয়েল ও সঙ্গীয় ফোর্স। 


গ্রেফতারকৃত দুই ভুয়া পিবিআই হলো: মোঃ গোলাম রসুল অরফে রনক(৩৫), সে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার আলুপট্টি এলাকার মোঃ আবুল কালাম আজাদের ছেলে। এছাড়াও অগ্রযাত্রা নামের পত্রিকার কার্ডধারী ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির ৪১ নং নির্বাহী সদস্য। অপরজন একই থানার সাগরপাড়া (বটতলা), এলাকার মোঃ জয়নাল আবেদীনের শেখের ছেলে মোঃ ওহিদুল শেখ অরফে অপু(৩২)।


সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম সিদ্দিকুর রহমান।


তিনি জানান, রোববার (৪ সেপ্টম্বর) গভির রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, কাটাখালী থানাধীন চৌমহনী বাজারে দুইজন ব্যক্তি গায়ে পুলিশের রিফ্লেকটিং ভেস্ট ও মাথায় পুলিশের ক্যাপ পরা অবস্থায় টাংগনগামী বিভিন্ন যানবাহন থামানোর চেষ্টা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এএসআই মোঃ জয়নাল আবেদীন টহলগাড়ি থেকে তাদের দেখতে পায়। এ সময় পুলিশের গাড়ি দেখে ভূয়া পিবিআই দুইজন দ্রুত মোটরসাইকেলে যোগে কাটাখালী বাজারের দিকে যেতে থাকে।


তাদের ধরতে কাটাখালী বাজার সংলগ্ন মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে শহরগামী মোটরসাইকেল থামিয়ে চেক করতে থাকে পুলিশ। এরই এক পর্যায়ে রাত দেড়টায় (রাজ মেট্রো-ল-১২-০৪৮৪) মোটরসাইকেল যোগে দুইজন ব্যক্তি দ্রুত গতিতে শহরের দিকে যেতে থাকলে তাদেরকে সংকেত দিয়ে থামিয়ে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করা হয়। ওই মোঃ গোলাম রসুল রনকের পিঠে থাকা একটি ছোট ব্যাগে কি আছে জানতে চায় পুলিশ। কিন্তু তারা দুইজনে দুই ধরনের কথা বলে। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের মধ্য একটি পুলিশ লেখা রিফ্লেকটিং জ্যাকেট ও একটি পুলিশ ফিল্ড ক্যাপ পাওয়া যায়। 


এ সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। 


জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের রিফ্লেকটিং জ্যাকেট ও ফিল্ড ক্যাপ পরিধান করে টাংগন ও চৌমহনি এলাকায় লোকজনকে পিবিআই পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দানের কথা স্বীকার করে।  


ওসি আরও বলেন, নিজেদেরকে পুলিশ কর্মকর্তার মিথ্যা পরিচয় দান করে প্রতারণা ও গভীর রাতে গাড়ি সংকেত দিয়ে থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্রাদি দেখতে চওয়ার অপরাধে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে  পেনাল কোডের ১৭০/১৭১/৪১৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সোমবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

শেয়ার করুন