স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে এডিস মশা ছিল না। ফ্লাইটে করে হয়ত এই মশা আমাদের দেশে এসেছে।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে তো এডিশ মশা ছিল না, ডেঙ্গি রোগ ছিল না। এটা তো বাইরে থেকে আসছে। ফ্লাইটে করে প্যাসেঞ্জার আসছিল অথবা দুটি মশা আসছে। এগুলো কোনো না কোনো বাহিত (ডেঙ্গি) ছিল, তারা আরও মশা প্রজনন করেছে।’
পরে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী।
বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা কম হলেও আমরা অস্বস্তিতে রয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের আগে আমাদের দেশে ডেঙ্গি রোগের তীব্রতা দেখা যায়নি। যে কারণে এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি ছিল না। সে অভিজ্ঞতা আমরা সংগ্রহ করেছি এবং কী কী খাতে আমাদের ইন্টারভেনশন দরকার বা কী কী আউটপুট দরকার সে বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে ২০২০ সালে আমরা মোটামুটি সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলাম।
‘২০২১ সালে ২০ হাজারের মতো আক্রান্ত হয়। কিছু মৃত্যু হয়। এখন ২০২২ সাল। এই ২০২২ সালে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গি রোগের তীব্রতা আমাদের সমসাময়িক দেশগুলোতে মারাত্মকভাবে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশও তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।’
তাজুল বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বরের পর থেকে ডেঙ্গি নিম্নগামী হয়, এটা আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিটি দেশে ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এই রোগের একটা সম্পৃক্ততা আমরা দেখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ বছর অক্টোবর মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো এটা নিম্নগামী না।