২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:১৮:১৫ অপরাহ্ন
৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল মিয়ানমার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-১১-২০২২
৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল মিয়ানমার

ছয় হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ২০২১ সালে সেনা-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটক হওয়া সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান, জাপানি চলচ্চিত্র নির্মাতা তরু কুবতা ও অং সান সু চির সাবেক অর্থ উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক শন টারনেলও মুক্তি পেয়েছেন।

মিয়ানমার আর্মির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৪ জানুয়ারি দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বোম্যান ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের দূত হিসেবে কাজ করেন। গ্রেফতারের সময় তিনি ইয়াঙ্গুনভিত্তিক মিয়ানমার সেন্টার ফর রেসপনসিবল বিজনেসের (এমসিআরবি) পরিচালনায় ছিলেন।

চলতি বছরের ২৪ আগস্ট শান রাজ্য থেকে ইয়াঙ্গুনে যাওয়ার সময় বোম্যান ও তার স্বামী হিটেন লিনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় বোম্যানের বিরুদ্ধে ভিসা আইন লঙ্ঘন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে তাকে মিয়ানমারে থাকতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। তাদের উভয়কেই এক বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির সামরিক আদালত।

এদিকে অভ্যুত্থানের পর পরই ইয়াঙ্গুন থেকে গ্রেফতার করা হয় শন টারনেলকে। অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার কয়েক দিন পর অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। পরে বিভিন্ন অভিযোগে টার্নেলকে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অন্যদিকে চলতি বছরের ২৬ জুলাই ইয়াঙ্গুনে জান্তা সরকারবিরোধী সমাবেশ চলাকালে গ্রেফতার হন জাপানি তথ্যচিত্র নির্মাতা তরু কুবতা। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ও যান্ত্রিক যোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা যায়, গ্রেফতার হওয়ার মাসেই প্রথমবারের মতো মিয়ানমার আসেন কুবতা। পরে স্থানীয় এক নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানানো শুরু করেন।

২০১৪ সালে কুবতা জাপানে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। পরবর্তীকালে তিনি মিয়ানমারের উদ্বাস্তু ও জাতিগত সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেন।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস জানায়, আজকের সাধারণ ক্ষমার আগে অন্তত ৬৮  সাংবাদিককে আটক করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বিভিন্ন অভিযোগে দেশি-বিদেশি প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে বন্দি করে তারা।

অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার জান্তা সরকারের হাতে দুই হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

শেয়ার করুন