মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের প্রত্যন্তর চন্দ্রকোলা গ্রামের ভ্যানচালক আবদুল খালেককে সামাজিক ভাবে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ির চারিদিক বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছেন প্রতিবেশি ও প্রভাবশালী হাজি ফজলুর রহমান। খালেক নিরুপায় হয়ে নিরসন চেয়ে বুধবার (১১ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাজি ফজলুর রহমান একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি স্থানীয়দের অনেকটায় জিম্মি করে রাখেন। তার অনুশ্বাসন মেনে না চললেই যে কেই পড়তে পারেন এধরণের বিপাকে। এজন্য তার হুকুমের বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেনা ওই পাড়ার বসবাসকারিরা। ভ্যান চালক খালেক ওই গ্রামে ঘরজামাই হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছেন। তার বসত ভিটার এক পাশ দিয়ে রাস্তা হিসেবে চলাচল করে প্রতিবেশিরা। এবার ওই বসত ভিটার অন্য পাশ দিয়েও সম্পূর্ণ রাস্তা চাই প্রতিবেশিরা। খালেক সে পাশেও অর্ধেক জমি দিলেও পাশ্ববর্তী জমির মালিকরা বাকি জমি না দিয়ে সম্পূর্ণ রাস্তা খালেকের জমির রাস্তা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
এতে খালেক দ্বিমত করলেই হাজী ফজলুর নের্তৃত্বে খালেকের জমির উপর বেড়া দিয়ে খালেকের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। প্রায় এক সপ্তা ধরে প্রতিবেশিদের বাধার মুখে ভ্যান নিয়ে বাড়িতে গ্রামে যেতে পারেন নি। তিনি ভ্যান নিয়ে অন্য গ্রামে দিন কাটালেও কলেজ পড়ুয়া একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন খালেকের স্ত্রী।
চন্দ্রকোলা গ্রামের অন্য পাড়ার একধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, ফজলু হাজির অনেক জমিজমা। এজন্য পাড়ার মানুষ তার কথায় চলাচল করে। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু করার ক্ষমতা রাখেনা। এছাড়াও তারা আরো জানিয়েছেন ফজলু হাজি নিজেই খালেকের জমির উপর বেড়া দিয়ে খালেকের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। গরীব মানুষ ভ্যান চালিয়ে যার সংসার যাপন। এজন্য কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করেন তারা।
হাজী ফজলুর রহমান বলেন, গোটা গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তক্রমে বেড়া দেয়া হয়েছে। খালেক অন্যজনকে রাস্তা দেয়নি এজন্য তার ভ্যান চলার রাস্তা বন্ধ করে রাখা আছে। সে রাস্তা দিলে তাকেও রাস্তা দেয়া হবে। না দিলে ওভাবেই চলছে চলুক।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাবিহা ফাজেমাতুজ্ জোহরা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।