দেশে ফলের স্বাদ অন্য কিছুতে নেই। মৌসুমী ফলে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তরমুজ ও আমের পুষ্টিগুণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের চিফ নিউট্রিশন অফিসার ও বিভাগীয় প্রধান আখতারুন নাহার আলো।
এখন আবহাওয়া বেশ উষ্ণ হয়ে উঠেছে। দেহে ঘাম হচ্ছে প্রচুর। ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে দেহের প্রয়োজনীয় পানি ও খনিজ পদার্থ। এ কারণে সব সময় একটা ক্লান্তি অনুভূত হয়। গরমের সময় পাওয়া যায় সব রসালো ফল। এ ফলই আমাদের শরীরে পানির জোগান দেয় ও খনিজ লবণের ঘাটতি মেটায়। বেশ কয়েকটি ফল এ সময় দেখা যায়। যেমন- তরমুজ, বাঙ্গি, কচি তাল, লিচু, আম, কাঁঠাল ইত্যাদি।
তরমুজ : এই ফলে ক্যালরির মাত্রা কম তবে পুষ্টিগুণ বেশি। এতে লৌহ ও ভিটামিনের পরিমাণ বেশি আছে বলে রক্তস্বল্পতা, রাতকানা রোগ ও মূত্র সংক্রামণ রোধ করতে সাহায্য করে। কিডনি সবল রাখতেও তরমুজের রস সাহায্য করে। এ ছাড়া টাইফয়েডের রোগীকে বারবার তরমুজের রস দিলে জ্বরের মাত্রা কমে আসে। তরমুজের রস ও মাল্টার রস একত্রে মধু ও বরফ দিয়ে খেলে উপাদেয় হয়।
আম : কাঁচা আমে শর্করা ও পেপটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। আমের আকারের ওপর এর ক্যালোরি নির্ভর করে। পাকা আমে ৬০ শতাংশ বিটা ক্যারোটিন থাকে। ক্যারোটিনের উপস্থিতির জন্য চোখ ও ত্বকের জন্য আম খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে কার্যকর। কাঁচা আমের শরবত লিভারের টনিক হিসাবে কাজ করে।