২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৭:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
ইবির দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০২-২০২৩
ইবির দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন সহকারী শিক্ষকের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। একসঙ্গে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের করা কমিটির রিপোর্টও ১০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন আদালত।

আদালত বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক।

এরআগে বুধবার দুপুরে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন।

জানা গেছে, এরইমধ্যে ইবি শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রেবা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টোর অধ্যাপক মুর্শিদ খান, একাডেমি শাখার উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আলীবদ্দীন খান।

এ কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক নবাগত শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

শেয়ার করুন