২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৬:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করবে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৫-২০২৩
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করবে

বিএনপি-জামায়াত চক্রকে ভোটচোর আখ্যায়িত করে দেশবাসীকে তাদের ভোট না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে। তাই সতর্ক থাকুন, যাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবার ক্ষমতায় না আসে।’

রবিবার লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে সব সময় জনগণের পাশে থাকায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সবাইকে (নেতাকর্মী) আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। তাহলে জনগণ কিভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে?’

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এরই মধ্যে জেনে গেছে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচার করা প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, “২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘ডেল্টা ২১০০’ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

‘দেশে আর কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষের আর খাদ্যের অভাব থাকবে না,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আবারও বিএনপি ও এর নেতাদের ভোটচোর আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তারেক রহমান একজন ভোটচোর এবং তার মা-ও ভোটচোর।’

বিএনপি-জামায়াতের মতো আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।’

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। আমরাই এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারো কিছু বলার নেই।

তিনি বলেন, ‘সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? বিএনপির ২০-দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০-দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং পরে উপনির্বাচনে একটিসহ মোট ৩০টি আসনে জিতেছিল। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। আমরা বাকি সব আসন পেয়েছিলাম। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে?’

প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে গত রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাঁকে বহনকারী বিমানটি আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা।

শেয়ার করুন