২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
চারঘাটে ঝুঁকিপূর্ন সেতু দিয়ে রাস্তা পারাপার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২৩
চারঘাটে ঝুঁকিপূর্ন সেতু দিয়ে রাস্তা পারাপার

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের বরকতপুর ও ধর্মহাটা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সাজিপাড়া বটতলায় প্রায় ২১ বছর আগে নির্মিত একটি সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময়ে সরদহ ইউনিয়ন ও নিমপাড়া ইউনিয়নের যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনগন।

উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের বরকতপুর ও ধর্মহাটা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সাজিপাড়া বটতলার নির্মিত হয়েছিল ৫০ ফুট লম্বা এই সেতুটি। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থী, পথচারী ও এলাকাবাসী। তাই ওই স্থানে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পুনারায় নির্মান করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সেতুটি ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে ধর্মহাটা, পাটিয়াকান্দি, খৌর্দ্দগবিন্দপুর, মুংলী, ফরিদপুর, বনকিশোর, বরকতপুর, নন্দনগাছি, শাহবাজপুর কামনি গ্রামের কয়েক হাজার লোকের যাতায়াত সুবিধার জন্য নির্মিত হয়েছিল। যোগাযোগ সুবিধার্থে এই সেতুটি ব্যবহার করে অত্র এলাকার সাধারন লোকজন যাতায়াতের জন্য সাইকেল, মটরসাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা ব্যবহার করে।

পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন নিমপাড়ার নন্দনগাছি হাট বাজারে অত্র এলাকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিপননের জন সেতুটি ব্যবহার করে স্থানীয় জনগন। কিন্তু ব্রীজটি চলাচলে ঝুঁিকপূর্ন হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার ঘুরে কৃষকদের কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য যেতে হয়। এতে যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি যাতায়াত ব্যয় বেড়ে গেছে বলে জানান পাটিয়াকান্দি গ্রামের হেলাল।

পাটিয়াকান্দি গ্রামের আখতারউদ্দীন বলেন প্রায় ৭/৮ বছর যাবৎ সেতুটির সাইড রেলিং ভেঙ্গে গেছে এবং সেতুটির মূল অংশ পিচসহ ঢালাই উঠে গেছে। তিনি আরও বলেন ব্রীজটি চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী এবং যে কোন মূর্হুতে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে। সেতুটি পুন:নির্মানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বললেও আজ পর্যন্ত পূনর্নিমানের জন্য কোন উদ্যেগ গ্রহন করা হয় নাই বলে জানান বরকতপুরের শাসমুজ্জামান।

সরদহ ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান বলেন, আমি ইতিমধ্যে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পুন:নির্মানের জন্য উপস্থাপন করা হয়। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার জানান, সাপোর্ট রুরাল ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি অনুমোদন হলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সেতুটি পুন: নির্মান করা হবে।

শেয়ার করুন