আগামী ২১ জন অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। যাদের মধ্যে এবার অন্যতম ফেভারিট হিসেবে শুরু থেকেই মাঠ দাঁড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী। গত পাঁচ বছরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে তিনি যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে নগরবাসীর অনেক খুশি। কাজেই বিএনপির অবর্তমানে এবার বিনা বাধায় মেয়র হচ্ছেন খায়রুজ্জামান লিটন এটিই মনে করছিলেন সাধারণ নাগরিকরা। গত ৫ বছরে মেয়র থাকাকালীন মেয়র লিটনের সাফল্যগাঁথা উন্নয়ন দেখে নগরবাসী এবারও তাকেই বেছে নিবেন-এটা প্রায় নিশ্চিত ছিলো।
তারপরেও ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় গত প্রায় দুই মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন খায়রুজ্জামান লিটন। তার প্রচারণার ক্ষেত্রেও মুখ থুবড়ে পড়েছেন ওপর তিন প্রার্থী। এতকিছুর পরেও একটি মহল হাত পাখার প্রার্থীকে নিয়ে কিছু গুঞ্জন রটাচ্ছিলেন। কিন্তু সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকা ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মুর্শিদ আলম ফারুকী বুঝতে পেরেছিলেন, রাসিক নির্বাচনে তিনি লিটনের কাছে পাত্তাই পাবেন না। আর সেটি বুঝতে পেরেই বরিশাল সিটি নির্বাচনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে রাসিক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হাতপাখার প্রার্থী মুর্শিদ আলম।
গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে রাজশাহী নগরের শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যালয় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মূর্শিদ আলম।
এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘নিশ্চিত পরাজয় জেনেই আপনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন কি না? তবে হাতপাখার প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী বলেন, আমি নির্বাচনে জয়ী হতাম। কিন্তু বরিশালের ঘটনার পরে এ নির্বাচন করার আর কোন প্রশ্নই আসে না।’
তাহলে রাসিক নির্বাচনে আপনার প্রচারণা তেমন ছিল না কেন-এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি মেয়র প্রার্থী মুর্শিদ আলম। তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সাংবাদিকদের চলে যেতো বলেন।
এদিকে সাধারণ নগরবাসীও বলছেন, রাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাত পাখা নগরবাসীকে বাতাস দিতে গিয়ে ঝড়ে উড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভূগছিলেন। আর সে কারণে নির্বাচন আসতে আরও ৯ দিন বাকি থেকেই সরে দাঁড়ালো হাতপাখা।
নগরীর উপর শহর এলাকার আব্দুস সালাম নামের একজন বলেন, হাত পাখার তো তেমন কোনো প্রচারণায় ছিল না। তাদের তাদের কোন কর্মীর কেউ দেখা যায়নি মাঠে এমনকি ব্যানার পোস্টার শ্রেষ্ঠ নও কোথাও তেমন দেখা যায়নি। ওরা আগেই বুঝতে পেরেছে, রাজশাহীতে হাত পাখার বাতাসে কিছুই হবে না এখানকার সাধারণ মানুষের। উল্টো সাবেক মেয়র লিটনের প্রতি আস্থা রেখে নৌকার ঝড়ে উড়ে যাবে হাতপাখা। সেই আশঙ্কায় তারা পালিয়েছে।