২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন
জামানত হারাচ্ছেন তিন মেয়র প্রার্থী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২৩
জামানত হারাচ্ছেন তিন মেয়র প্রার্থী

কম ভোট পাওয়ায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের তিন মেয়র প্রার্থী জামানাত হারাচ্ছেন। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যদি প্রদত্ত মোট ভোটের এক অষ্টমাংশ ভোট কোনো প্রার্থী না পান তাহলে তার জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। 


নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি নির্বাচনে চারজন মেয়রপ্রার্থী ছিলেন। চারজনে মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৮ ভোট। এই ভোটের আট ভাগের এক ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ৪৫৭ ভোট। কিন্তু একমাত্র লিটন ছাড়া ছাড়া অন্য কোনো মেয়রপ্রার্থী এই পরিমাণ ভোট পাননি। ফলে অন্য মেয়রপ্রার্থীরা জামানত হারাচ্ছেন। 


ফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। 


এ ছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। আর জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লতিফ আনোয়ার পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট। 


নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই তিন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে দেওয়া জামানতের ২০ হাজার করে টাকা ফিরে পাবেন না। 


জামানত বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, ‘আমরা তো আগেই ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছি। কাজেই এই ভোটে আমাদের অংশগ্রহণ নেই। যারা আমাদের ভালোবাসেন তারা হয়তো ভোট দিয়েছেন। জামানত বাজেয়াপ্ত নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই’। 


নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জানান, রাসিক নির্বাচনে মোট ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৭০টি। অনেকে ভোট দিলেও চূড়ান্ত বাটনে চাপ দেননি। আবার অনেকে একই পদে একাধিক ব্যক্তিকে ভোট দিয়েছেন। তাই এসব ভোট বাতিল হয়েছে।


শেয়ার করুন