০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০৬:২৩:৫২ অপরাহ্ন
‘ম্যানেজিং কমিটি কর্মচারীও নিয়োগ দিতে পারবেনা’
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২৩
‘ম্যানেজিং কমিটি কর্মচারীও নিয়োগ দিতে পারবেনা’

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সুপারদের নিয়ে জুম মিটিং করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ দুলাল আলম।


সরকারের নির্দেশমতে অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে বুধবার (১২ জুন) রাত ৯ টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে রাত ১১ টা পর্যন্ত। নিয়োগ, ফেসবুক, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস, অনলাইন এমপিও, এমএমসিসিএম, বিভিন্ন বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।


তিনি বলেন, এখন থেকে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ( স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় ) ম্যানেজিং কমিটি, গর্ভনিং বডি আর অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, সহকারি উপাধ্যক্ষ, সুপার সহঃসুপার, নৈশপ্রহরী, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিতে পারবেন না। এব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে।


পাশাপাশি তিনি স্ববিরোধী কথাও বলেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রচার করবেন, সুযোগ হলে দিবেন না হলে বাদ দিবেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বলেন, বেতন করতে না পারলে কেন নিয়োগ দিতে যাব। তবে তিনি কোন উত্তর দেন নি।


আলোচনায় উঠে আসে, নতুন কারিকুলাম, ইআইএমএস, ইমেইল দেখা, অনলাইন এমপিও, ওয়ার্ড ফাইল, ডাটা এন্টির ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ের কিছু কম্পিউটার শিক্ষক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।


যে সব কম্পিউটার শিক্ষক, অফিস সহকারিগণ কম্পিউটারের কাজ জানে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। শোকজ, বেতন কর্তন করতে হবে। সরকার কোটি কোটি টাকার ল্যাব সামগ্রী দিয়েছেন, সেগুলি ব্যবহার না করার কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের যেসব কম্পিউটার শিক্ষক কাজ জানে না তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজ উদ্যোগে কাজ শিখে কাজ করতে হবে তানা হলে চরমমূল্য দিতে হবে।


নতুন শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য সবাইকে একযোগে কার্যক্রম করতে হবে, নেগেটিভ কিছু বলা যাবে না। প্রজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়েই কাজ করতে হবে । পরীক্ষার চাপ থেকে বেরিয়ে আনন্দের মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীরা কীভাবে শিখবে সেটার জন্য এ নতুন শিক্ষা পদ্ধতি।


মাঠ পর্যরের শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকগণ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন যেন শিক্ষার্থীরা নতুন কারিকুলামে ভালভাবে শিখতে পারে।


তিনি আরো বলেন, এ কার্যক্রমকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, অভিভাবকগণকে এক সাথে কাজ করতে হবে। কাজটি সুন্দর সুচারুরুপে করতে পারলেই শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের নিকট আপনি একজন জনপ্রিয় শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি পাবেন। এ গৌরব ও সম্মান হবে গোটা শিক্ষা পরিবারের। একার্যক্রমে কোনভাবে অবহেলা করা যাবে না।


এভাল কাজটি সফলভাবে করতে পারলে শিক্ষা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে গর্ববোধ করবো। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের উপকারে আসবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় সোনার মানুষ গড়ে উঠবেই। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে বলে সকল শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

শেয়ার করুন