রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে স্বামীর সহযোগিতায় পাঁচ বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। পর্নো সিনেমা তৈরি করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই গৃহবধূ।
এ নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে চন্দ্রিমা থানায় স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, নগরীর শিরোইল কলোনি হাজরাপুকুর এলাকায় স্বামীকে নিয়ে দেড় মাস ধরে এক নারীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন ওই গৃহবধূ। গত ৭ জুলাই বেলা ১১টার দিকে জোর করে তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান স্বামী। পরে ওই রাত ৯টার দিকে কফির সঙ্গে আবারো ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয় তাকে। ওষুধ খাওয়ার ফলে অচেতন হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
পরবর্তীতে ওই রাতে তার স্বামীসহ ৫ জন মিলে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের সম্পূর্ণ ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তারা। ভোরের দিকে তার অবস্থা বেগতিক হলে তাকে তেঁতুল খাওয়ানোর চেষ্টা করে ধর্ষকরা। পরে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। তবে স্বামীর ভয়ে এতদিন প্রকাশ করেননি তিনি। কিন্তু পর্নো ছবি করে সেটি দিয়ে অব্যাহত হুমকির কারণে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এতে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে ওই নারী অভিযোগ করেন।
ওসি মাহাবুব আলম বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর গ্রেপ্তারের পর আসামিদের নাম প্রকাশ করা হবে।