২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:০১:৫৬ অপরাহ্ন
হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের শয্যা বাড়াতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৭-২০২৩
হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের শয্যা বাড়াতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

দেশের সব সরকারি হাসপাতালে শয্যা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নির্বিঘ্ন করতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন। 

বৈঠকে তিনি রাজধানীর প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ১০০ থেকে ২০০ শয্যা বাড়াতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাজধানীতে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ শয্যা বাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। 

শয্যা বাড়ানোর প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রখ্যাত রোগতত্ত্ববিদ ড. মুশতাক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী তিন মাস (আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর) ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। এতে দেশে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু দুই বাড়বে। অর্থাৎ আগামী তিন মাস দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিত থাকবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে শুধু শয্যা বাড়ালেই হবে না, সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে অধিদপ্তরের সব পরিচালক, সব বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বৈঠকের সমন্বয় করেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতেই মন্ত্রী প্রধান প্রধান হাসপাতাল পরিচালকদের কাছ থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ২০০ শয্যা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ১০০, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০, কুর্মিটোলা ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অন্তত ১০০ করে শয্যা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি শ্যামলী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড করা যায় কি না সে বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর হটস্পট রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও কমপক্ষে ১০০ শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় হাসপাতালপ্রধানেরা জানান, হাসপাতালগুলোর সাপোর্ট স্টাফ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি এসব কর্মীদের বাজেট বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া নার্সিং সংকট এবং রোগীদের ডায়েটের সংকটের কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা। 

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মোহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, কোভিড পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে এসেছে এমন অজুহাতে অর্থ বিভাগ হাসপাতালের আউটসোর্সিং ব্যয় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

শেয়ার করুন