ভারতীয় অর্থ প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরকে কেন্দ্র করে নোরা ফাতেহি ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। সুকেশের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে জ্যাকুলিন ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে চাইছেন অভিযোগ করে গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির এক আদালতে একটি মানহানি মামলা করেছিলেন নোরা।
সোমবার এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে। শুনানিতে উপস্থিত হয়ে নোরা তাঁর অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাঁকে একা পেয়ে জ্যাকুলিন ও কিছু গণমাধ্যম তাঁকে বলির পাঁঠা বানিয়েছে বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির আদালতে নোরা অভিযোগ করেছেন, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন।
নোরা বলেন, ‘তাঁরা আমাকে গোল্ড ডিগার বলেছিল এবং একজন সহশিল্পীর (সুকেশ) সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে আমাকে অভিযুক্ত করেছিল।’
জানা যায়, সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে প্রাক্তন ফোর্টিস হেলথকেয়ারের প্রমোটার শিবিন্দর সিংহের স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি রুপি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট সুকেশের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সে সময় মামলার তদন্ত বিভাগ দাবি করে, সুকেশের কাছ থেকে ৫ কোটি ৭১ লাখ রুপির উপহার নিয়েছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। এই অর্থ অপরাধের মাধ্যমে হাতিয়েছেন সুকেশ।
এ কারণে জ্যাকুলিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সুকেশের অর্থ প্রতারণা মামলায় গভীরভাবে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে দিশেহারা জ্যাকুলিন গণমাধ্যমকে জানান, তিনি ছাড়াও আরও অনেক তারকা সুকেশের কাছ থেকে উপহার নিয়েছেন। তাদের মধ্যে নোরা ফাতেহি একজন।
এভাবেই সুকেশ বিতর্কে নোরার নাম জড়িয়ে যায়। এ জন্য তিনিও একাধিকবার জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এ অবস্থায় সুনাম ক্ষুণ্ন ও ক্যারিয়ার ধ্বংস চেষ্টার অভিযোগ করে গত বছরের ডিসেম্বরে মানহানির মামলাটি করেছিলেন নোরা ফাতেহি। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ‘মানহানির এই মামলাটি জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ এবং কয়েকটি চ্যানেল ও প্রকাশনার বিরুদ্ধে; যাঁরা মিথ্যে অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষের কাছে আমাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে চাইছেন।’
সোমবার সেই মামলার শুনানিতে নোরা দাবি করেন, সেই ঘটনাটির জন্য কাজের নানা সুযোগ তাঁর হাতছাড়া হয়ে গেছে। সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং মানসিকভাবেও তিনি ভেঙে পড়েছেন।
নোরা বলেন, ‘ওই ঘটনাটিতে গণমাধ্যমে আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। কারণ এই দেশে (ভারত) আমি বহিরাগত এবং একা ছিলাম। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।’