২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৭:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন
জোটের বৈশ্বিক গুরুত্ব বাড়াতে ব্রিকসের সম্প্রসারণ চায় চীন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৮-২০২৩
জোটের বৈশ্বিক গুরুত্ব বাড়াতে ব্রিকসের সম্প্রসারণ চায় চীন

বিশ্বের উদীয়মান শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সম্প্রসারণের বিষয়টি এগিয়ে নিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে চীন। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হওয়া পাঁচ দেশের—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা—জোটের শীর্ষ বৈঠকেও বিষয়টি বেশির ভাগ সময় দখল করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 


বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় এক চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই জোটের পাঁচটি দেশ। জোটটিতে বাংলাদেশ, ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ প্রায় ১৮টি দেশ যোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছে দ্য ইকোনমিস্ট। চীন দেশগুলোকে জোটে সম্প্রসারণের পক্ষে। এ বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো ধরনে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে চীন জোট সম্প্রসারণ করতে চায় না বরং দেশটি সবার সাধারণ কল্যাণের লক্ষ্যেই জোটের সম্প্রসারণ চায়। 


গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতে এক বিজনেস ফোরামে চীনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। তিনি বলেন, ‘সি বলেছেন, চীনের ডিএনএতেই আধিপত্যবাদ নেই।’ তিনি সি চিন পিংকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বড় ধরনের শক্তির প্রতিযোগিতায় নামা বা “গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব” সৃষ্টি করার কোনো ইচ্ছা চীনের নেই।’ বরং শান্তি এবং উন্নয়নের অবকাঠামো বিস্তৃত করার লক্ষ্যেই জোটের সম্প্রসারণ চায় চীন। 


চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী সেখানে বলেন, ‘যত বাধাই আসুক না কেন, ব্রিকস একটি ইতিবাচক ও স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে কল্যাণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। আমরা ব্রিকসে নতুন সদস্য গ্রহণের মাধ্যমে একটি কৌশলগত অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাব। যা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক করে তুলবে। 

 


ব্রিকস সম্মেলন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে নজরব্রিকস সম্মেলন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে নজর

সব দিক বিবেচনায় চীন ব্রিকসের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য। দেশটির প্রেসিডেন্ট চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশ সফরে গেলেন, তাও আবার ব্রিকসের সম্মেলনে। ফলে চীনের কাছে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সফর চীনের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। 


ব্রিকসকে অনেকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ভাবলেও চীন যেমন বিষয়টি স্বীকার করে না তেমনি প্রায় একই স্বরে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রও। সম্প্রতি ব্রিকসের বিষয়ে মূল্যায়ন তুলে ধরতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে উঠছে এমনটা দেখা যাচ্ছে না। 


জেক সুলিভান বলেন, ওয়াশিংটন ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শক্তিশালী ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করতে থাকব।’ 


শেয়ার করুন