নির্বাচনকালীন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইসির কাছে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার। আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। উনি জানতে চেয়েছিলেন আমাদের প্রস্তুতি কেমন। উনি অতিরিক্ত যেটা বলেছেন, নির্বাচনটা যেন অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়।’
আলোচনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা উঠে এসেছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘পর্যবেক্ষকের বিষয়টা আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, আমরা স্বচ্ছতার ওপর জোড় দিয়ে থাকব। এ জন্য পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে খুব বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা আশা করব। কারণ নির্বাচনের যে একটা দর্পণ, তা প্রতিফলিত হবে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে। তিনি (সারাহ) বলেছিলেন, গণমাধ্যমের জন্য যে নীতিমালা হয়েছে, সেখানে পারমিশন (অনুমতি) নিয়ে যেতে হবে। আমরা বলেছি, পারমিশন বলে কিছু ছিল না। শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যম থেকে যে দাবিটা আসছে, সেটা হলো মোটরসাইকেলের বিষয়। আমরা বলেছি, একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম, মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হয় কি না। যারা মাসলম্যান (পেশিশক্তি ব্যবহারকারী) তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সংকট তৈরি করে কি না। একই সঙ্গে বলেছি, গণমাধ্যমের যে দাবি সেটাও যৌক্তিক। মোটরসাইকেল ছাড়া তাদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড কাভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। সে জন্য আমরা বলেছি, এটা আমরা আন্ডার রিভিউ (বিবেচনাধীন) রেখেছি। সেটা আমরা এডিকুয়েটলি (যথাযথভাবে) পরিবর্তন করব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সারাহ কুক আশা করেছেন, ইলেকশনটা যেন পার্টিসিপেটরি ও ক্রেডিবল হয়। ইলেকশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হতে হলে আমি জোর দিয়েছি, যাঁরা পোলিং এজেন্ট তাঁদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। পোলিং এজেন্টদের আমরা সেনসেটাইজ (সংবেদনশীল) করব। প্রার্থী পলিটিক্যাল পার্টি ও পোলিং এজেন্টদের পোলিং স্টেশনের ভেতরে শৃঙ্খলা ও অপব্যবহার রোধ করতে হলে পোলিং এজেন্টদের সক্রিয় হতে হবে, সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। পোলিং স্টেশনের ভেতরে যে অনিয়ম হতে পারে, সেই সম্ভাবনাটা হ্রাস পাবে।’