২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:১২:৩৬ অপরাহ্ন
রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক জাহাজ লক্ষ্য করে মিসাইল হামলার অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২৩
রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক জাহাজ লক্ষ্য করে মিসাইল হামলার অভিযোগ

এবার বেসামরিক জাহাজকে লক্ষ্য করে ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপের অভিযোগ উঠল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যুক্তরাজ্য অভিযোগ করেছে, গত মাসে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে পণ্যবাহী একটি জাহাজকে লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।


যদিও ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ ওই হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় বলেও দাবি করেছে দেশটি। 


যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ আগস্ট ওই হামলার চেষ্ট হয় এবং ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেটি ব্যর্থ করে দেয়। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ওই জাহাজটির দিকে রাশিয়ান রণতরী থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে তারা।



এর আগে নিজেদের শর্ত পূরণ না হওয়ায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। এক বছর আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণসাগর দিয়ে নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারত ইউক্রেনের খাদ্যশস্য।


তবে গত ১৭ জুলাই চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর পর রাশিয়া সেটির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই বর্তমান বিশ্বের প্রধান শস্য রফতানিকারক দেশ।


আর এর পর কৃষ্ণসাগরে জাহাজ ঢুকলেই তাতে হামলার ইঙ্গিত দেয় রাশিয়া। চুক্তির মেয়াদ শেষের পর এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইঙ্গিত দেয়, রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া ইউক্রেনের শস্য নিতে, কৃষ্ণসাগরে যদি কোনো জাহাজ প্রবেশ করে তাহলে সেটিতে হামলা চালানো হবে। কারণ এসব জাহাজকে অস্ত্রবাহী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।


সোমবার পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, শস্যবাহী জাহাজে হামলা ব্যর্থ হলেও এটি প্রমাণ করেছে- পুতিন আসলে ঠিক কতটা মরিয়া। 


তিনি বলেন, ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক জলসীমার মাধ্যমে তার পণ্য রফতানি করার অধিকার রয়েছে এবং তাদের শস্য পাঠানোর নৈতিক অধিকারও রয়েছে।


তবে এ ব্যাপারে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেনি। 


শেয়ার করুন