২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:১৪:৪১ পূর্বাহ্ন
টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৯-২০২৩
টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়েতে প্রথম টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টোল দিয়ে তিনি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠেন।


প্রধানমন্ত্রী কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়ি প্রতি ৮০ টাকা হারে টোল দিয়ে ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন। এরপর বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়ের উদ্বোধন করেন তিনি।


এসময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতুসচিব মনজুর হোসেন এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্রিফ করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ গাড়িবহর নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চড়ে আগারগাঁওয়ের সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।


ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (তিন টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। সবধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।


মাঝারি ধরনের ট্রাকের (ছয় চাকা পর্যন্ত) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২০ টাকা এবং বড় ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ টাকার মধ্যে ভ্যাটও অন্তর্ভুক্ত করা আছে।


শনিবার থেকে এ টোলহার কার্যকর হবে। যেকোনো স্থানে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে এ টোলহার প্রযোজ্য হবে।


শনিবার নির্ধারিত কিছু গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুযোগ পাবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যানবাহনের জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে। তবে, মোটরসাইকেল, সাইকেল এবং থ্রি-হুইলার চলতে দেওয়া হবে না।


ঢাকা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ২০১১ সালের জুন মাসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।


সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) আওতায় প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নকশা বদল, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, অর্থের সংস্থানসহ নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা পাঁচবার পেছায়।


শুরুতে উড়ালসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকায়। সর্বশেষ ট্যাক্স, ভ্যাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৬ হাজার কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ১৫৩ টাকা।


ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড হচ্ছে এ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে তিন বিদেশি কোম্পানি ইতাল থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।


শেয়ার করুন