২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:৩৬:০১ অপরাহ্ন
রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ অর্ধেক বাসাই ফাঁকা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৩
রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ অর্ধেক বাসাই ফাঁকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রয়েছে পৃথক আবাসন ব্যবস্থা। এখন যার অধিকাংশই খালি পরে আছে। নিরাপত্তাহীনতা, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব, অতিরিক্ত ভাড়া, নিয়মিত সংস্কার না করাসহ বিভিন্ন কারণে কোয়ার্টারে থাকতে চান না বলে জানান শিক্ষক-কর্মকর্তারা। কোয়ার্টারগুলোতে না থাকার ফলে একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে এটাকে একাডেমিক ক্ষতি বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


শিক্ষক-কর্মকর্তারা জানান, নীতিমালা অনুযায়ী প্রভাষক ও কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ এবং অধ্যাপক ক্যাটাগরির শিক্ষকদের ৩৫ শতাংশ হিসাবে ভাড়া দিতে হয়। যা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আবার কাউকে গুনতে হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। যা দিয়ে শহরে যে কোনো ভালো বাসায় থাকা যায়।


সরেজমিনে গিয়ে দেখে যায়, কোয়ার্টারগুলোর রাস্তার দুইপাশে অধিকাংশ ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। কিছু কিছু বাসার জানালা ভেঙে পরে আছে, নেই দরজা। বাসার জানালা-দরজায় লেগে আছে উইপোকা। বাসাগুলোর ওপরের তলাগুলো ঠিক থাকলেও নিচের তলা পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। বাসাগুলোর পশ্চিম পাশের প্রাচীর ভেঙে গেছে। এছাড়াও বাসাগুলোতে কোনো দারোয়ান বা গার্ড চোখে পরেনি। কিছু কিছু বাসার দেয়াল থেকে সিমেন্ট বালু খসে পড়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট বাসা বা কোয়ার্টার আছে ৩১৪টি। এর মধ্যে ১২০টি বাসা খালি পড়ে আছে। সহায়ক, সাধারণ ও সুইপারদের ১৫০টি বাসার মধ্যে ৫৭টি খালি। সহায়ক শ্রেণিদের জন্য নির্ধারিত ৩৬টি বাসার মধ্যে ১৭টিতে কর্মচারীরা বসবাস করলেও ১৯টি খালি পড়ে আছে। সাধারণ শ্রেণিদের ৫৪টি বাসার মধ্যে ৩৮টিতেই কেউ থাকেন না।


দীর্ঘদিন শিক্ষকদের কোয়ার্টার নিয়ে কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কুদরত-ই- জাহান।  কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি  বলেন, কোয়ার্টারগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পোকামাকড়ও পাওয়া যায় এবং সিকিউরিটি গার্ডেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।


তিনি আরও বলেন,  সবচেয়ে বড় যে সমস্যা হলো অর্থনৈতিক। বাসা ভাড়া হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা কেটে নেয় যেটা মান অনুযায়ী অনেক বেশি। যার জন্য প্রায় অধিকাংশ বাসা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে টাকা কেটে নেয় তার এক চতুর্থাংশ টাকায় বাইরে ফ্লাট নিয়ে থাকা যায়।


শিক্ষকদের আবাসিকমুখী করার জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোয়ার্টারগুলোর মান অনুযায়ী ভাগ করে যুক্তিসংগত ভাড়া নির্ধারণ করা উচিত।


শেয়ার করুন