২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:১০:০৩ অপরাহ্ন
দক্ষিণ এশীয়রা জিনগতভাবে ডায়াবেটিস প্রবণ: অধ্যাপক আকতার হোসেন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৯-২০২৩
দক্ষিণ এশীয়রা জিনগতভাবে ডায়াবেটিস প্রবণ: অধ্যাপক আকতার হোসেন

অধ্যাপক আকতার হোসেন বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মানুষের মধ্যে জাতিগত ও জিনগতভাবে ডায়াবেটিসের প্রবণতা রয়েছে। এর কারণ উন্মোচন করার জন্য চিকিৎসক ও গবেষকদের প্রচেষ্টা প্রয়োজন।


আজ শুক্রবার ‘বাডাস-আইডিএফ সাউথ ইস্ট এশিয়া রিজওনাল সায়েন্টিফিক কনফারেন্স, ২০২৩’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) ও ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এই সম্মেলন শুরু হয় আজ। 


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগের অন্যতম কেন্দ্রস্থল দক্ষিণ এশিয়া। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে ৯ কোটিরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (২০-৭৯ বছরের) ডায়াবেটিস রয়েছে। ২০৪৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 


আজ সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আকতার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি ও আইডিএফ-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। 


সম্মেলনে দেশ-বিদেশের পাঁচ শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-গবেষক অংশ নিচ্ছেন এবং গবেষণাপত্র উপস্থাপন করছেন। তাঁরা জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত ৯ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষেরই ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়নি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মমাফিক জীবনযাপন করলে এই রোগ জয় করা সম্ভব। তাই প্রত্যেকেরই ডায়াবেটিসের প্রবণতা পরীক্ষা করা প্রয়োজন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা দরকার। 


সম্মেলনের প্রথম দিনে ১৫ জন গবেষক ও চিকিৎসক তাঁদের গবেষণাপত্র ও ভাবনা তুলে ধরেন। দ্বিতীয় দিনে আরও ১৪ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। দুদিনের এই সম্মেলন শেষ হবে কাল শনিবার বিকেলে।


শেয়ার করুন