২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০১:৪৯:০৭ অপরাহ্ন
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৯-২০২৩
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীমকে শাহবাগ থানার ভেতরে ঢুকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। আহতের একজন হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে মধ্যরাতে শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকে ফেসবুকে এই দুই ছাত্রলীগ নেতার ছবি দিয়ে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ কর্মীরা। তবে ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা। 

তবে পুলিশ কর্মকর্তার মারধরের বিষয়টি নজরে এসেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। জানতে চাইলে সকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কেউ অপরাধ করলে সে শাস্তি পাবে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে এডিসি হারুন অর রশিদকে ফোন করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গতকাল রাতে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে গল্প করছিলেন এডিসি হারুন। বিষয়টি ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী (একই ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা) জানতে পেরে নাঈম ও মুনীমকে সেখানে পাঠান। পরে তারা সেখানে গেলে এডিসি হারুনের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। 

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ছাত্রলীগের দুই নেতা এডিসি হারুনের ওপর বেশি মারমুখী ছিলেন। পরে পুলিশ কর্তা হারুন থানায় এসে ফোর্স নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। 

সেখানে আসলে কী হয়েছিল জানতে চেয়ে শরীফ আহম্মেদ মুনীমকে ফোন দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর অসুস্থ থাকায় কথা বলতে পারবেন না বলে জানান আনোয়ার হোসেন নাঈম। জানা যায়, নারী কর্মকর্তার স্বামীও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তাঁর বাড়ি ও আহত দুই ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি গাজীপুরে।

শেয়ার করুন