০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০৫:২৪:৫৯ অপরাহ্ন
বাগমারায় এমপি এনামুল হকের প্রচেষ্টায় বদলে গেল মাধাইমুড়ি গ্রামের রাস্তা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৯-২০২৩
বাগমারায় এমপি এনামুল হকের প্রচেষ্টায় বদলে গেল মাধাইমুড়ি গ্রামের রাস্তা

বর্তমান সরকারের সময়ে যোগাযোগ খাতে যে বিপ্লব ঘটেছে তা চোখে পড়ার মতো। উপজেলা সদরের সাথে সেতু বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে প্রতিটি ইউনিয়নের। সেই সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে গ্রামের প্রত্যন্ত রাস্তাঘাট। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নাজুক। পিছিয়ে পড়েছিল বাগমারা। ছিল অবহেলিত এক পশ্চাদমুখ জনপদ।


যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকা বাগমারা এখন অনেক অগ্রসর। শহরের সাথে তুলনা করে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন রাস্ত-ঘাট। সেই সাথে পুরাতন কিছু রাস্তা সংস্কার, নতুন করে রাস্তা পাকাকরণ, ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ হওয়ার ফলে উন্মোচিত হয়েছে সহজ যোগাযোগের দ্বার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে মানুষের জীবন যাত্রার মানও বেড়েছে। নেই আগের মতো জন দুর্ভোগ।


ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির প্রচেষ্টায় মাধাইমুড়ি গ্রামের কাচা রাস্তা পাকাকরণ করা হলো। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদামাটিতে নষ্ট হয়ে যেতো সেই রাস্তা। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দূর্ভোগের শেষ হতো না। উপজেলার প্রায় রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। যে দু’একটি রাস্তা মাটির ছিল সেটাও পাকাকরণ করা হচ্ছে। গত বছরও মাধাইমুড়ি-মরাকুড়ি রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী ছিল। সেই রাস্তা আজ পাকা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে মাধাইমুড়ি গ্রামের রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। রাস্তাটি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। এখন সেই কাঁদা রাস্তা হয়েছে পাকা। রাস্তা পাকা হওয়ায় স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে কাঁদার মধ্যে পড়তে হবে না শিক্ষার্থীদের। আগে পণ্য বহনে পরিবহণ চালকদের যে কষ্ট করতে হয়েছে সেটা এখন অনেক কমে যাবে।


মাধাইমুড়ি-মরাকুড়ি মোড়ের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাগমারায় বহু এমপি দেখেছি এনামুল হকের মতো কেউ কাজ করেনি। এমপি এনামুল হক আছে বলে অবহেলিত রাস্তা এখন পাকা হয়েছে। এখন আর কাঁদায় হাটতে হবে না। পোল্টি ফার্মের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার খামারে খাবার সহ অন্যান্য জিনিসপত্রাদী বহনে সমস্যায় পড়তে হতো। রাস্তা পাকা হওয়ার কারনে সেই সমস্যায় পড়তে হবে না। এখন বৃষ্টির মধ্যেও চলাচল করা সহজ হবে।


২০০৮ সালের পূর্বে বাগমারা অনেক এমপি-মন্ত্রী দায়িত্বপালন করলেও বাগমারার প্রধান প্রধান রাস্তা সহ প্রত্যন্ত এলাকা ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। সেই উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকায় এখন উন্নয়নে ভরপুর। উপজেলার সবখানে কেবল উন্নয়ন। প্রায় ১৫ বছরে বদলে গেছে বাগমারার উন্নয়নের ইতিহাস। উপর থেকে দেখলে মতে হয় বাগমারা যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। এমন কোন এলাকা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের যে প্রতিশ্রুতি গ্রাম হবে শহর। সেই চিন্তা নিয়ে কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। বাগমারাবাসীর আপামর জনগণের কথা ভেবে উপজেলাকে সাজিয়েছেন আধুনিক সব উন্নয়ন করে। বাগমারার প্রতিটি রাস্তা যেন শহরের মতন।


ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বচিত হওয়ার পর থেকেই বাগমারার প্রতিটি স্তরে উন্নয়ন করে চলেছি। এক বারে সকল এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। প্রায় ১৫ বছরে উপজেলার সিংহ ভাগ উন্নয়ন করা হয়েছে। যেটুকু কাজ অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলোর কাজও চলমান।


 

শেয়ার করুন