২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৩০:৫১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৩ সমঝোতা স্মারক সই
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৯-২০২৩
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৩ সমঝোতা স্মারক সই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।


স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকালে নয়াদিল্লির লোককল্যাণ মার্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দেড় ঘণ্টাব্যাপী তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 


নয়াদিল্লির লোককল্যাণ মার্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি



১. বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দু'দেশের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতে সহযোগিতা জোরদার হবে।


২. ২০২৩-২৫ এর জন্য কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম (সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রোগ্রাম)। এর অধীনে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক খাতে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদারকরণে বিভিন্ন ব্যবস্থা ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।


৩. ভারতের এনপিসিআই ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্টস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক। এই সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক লেনদেন সম্পাদন সহজতর হবে।




বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ও মোদির এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ আগ্রহ ছিল। নির্বাচন ঘিরে সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে পাশে চায় সরকার। ধারণা করা হচ্ছিল, বৈঠকে দুই নেতা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানেন না তিনি। 


নয়াদিল্লির লোককল্যাণ মার্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি


বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তাদের মাঝে একান্ত বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে তিস্তা ও অমীমাংসিত ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। 


মোমেন জানান, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে একমত হয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


শেয়ার করুন